নটিংহ্যামশায়ারের ট্রেন্ট ব্রিজে ম্যাচের পুরো ফোকাসটাই ছিল সাকিবের ওপর। প্রথম চার ম্যাচে ব্যাট হাতে যে গতিতে ছুটেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ম্যাচের সব আলো তার দিকে থাকাই ছিল স্বাভাবিক। ছিলও। কিন্তু ম্যাচ শেষে সব ফোকাস নিজের দিকে টেনে নেন মুশফিকুর রহিম। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জানবাজির ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৪৮ রানে। হেরেছে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে। তবে রেকর্ডের ম্যাচের নায়ক সাকিব নন, মুশফিক। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সদের গতি ও বাউন্সকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মুশফিক খেলেন ১০২ রানের হার না মানা ইনিংস। ২১০ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে যা ৭ নম্বর সেঞ্চুরি এবং বিশ্বকাপে প্রথম। অবশ্য চলতি ক্রিকেট মহাযজ্ঞে সাকিব টানা দুই সেঞ্চুরি করে নিজেকে স্থায়ী করেছেন অনন্য উচ্চতায়। পাহাড়সম চাপের ম্যাচে ১৯ ওভারে ক্রিজে আসেন মুশফিক। ১৭৫ রানে ৪ উইকেটের পতনের পর যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছে টাইগাররা, তখনই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৯৭ বলে ১২৭ রান। এই জুটি স্বপ্ন দেখাচ্ছিল রান তাড়া করে অবিশ্বাস্য জয়ের রেকর্ড গড়ার। মাহমুদুল্লাহর বিদায়ের পর সব স্বপ্ন শেষ হলেও থেমে থাকেননি মুশফিক। ১০২ রানের ইনিংস খেলেন ৯৭ বলে।
১৬৬ রানের অতিমানবীয় ইনিংসে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। বিপরীতে পর্বতসমান চাপে সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক। তার পরও ম্যাচ হারে আফসোসটা রয়েই গেছে।