ট্রিপল সেঞ্চুরির আক্ষেপ কিনা?
তা তো অবশ্যই, ইনশাআল্লাহ্ ৩০০ হতো। আমি আসলে প্রত্যাশা করি নাই এমন সময় ইনিংস ঘোষণা দেবে। আমার নিজের কাছে মনে হয়েছিল হাতে দুদিন সময় আছে। আর তার থেকে বড় ব্যাপার যে উইকেটে আমরা যত বেশি ব্যাটিং করব আরও কঠিন হবে।
ইনিংস ঘোষণা নিয়ে
শেষের আধা ঘণ্টার আগে জানতে পেরেছি যে লাস্ট ৬ থেকে ৮ ওভারের মতো ওদেরকে দেব। তার আগে তো প্ল্যান ছিল লিটন যদি থাকে একটা ব্যাটসম্যান থাকলে আমার জন্য একটু সহজ হয়। আমার প্ল্যান ছিল ও যদি একটা ১০০ করে ফেলে তাহলে আমারও ৩০০ রানের কাছে হবে। সেটা আজকে তো না কালকে প্রথম সেশনে হয়ে যেত।
ব্যতিক্রমী সেলিব্রেশনের ব্যাখ্যা
এটা (উদযাপন) আমি আগে থেকে চিন্তা করি নাই। ডাবল হান্ড্রেড করার পরে আমার ছেলে আসলে ডাইনোসরের খুব বড় ফ্যান। ও সবসময় ডাইনোসর দেখলে অন্যরকম সেলিব্রেশন করে। সেটাই করার চেষ্টা করছিলাম। আমার ডাবল সেঞ্চুরিটা ওর জন্য।
প্রতিশোধ কিনা
প্রতিশোধ বা প্রতিবাদের জন্য সেলিব্রেশন করি নাই। আমি সবসময় আমার নিজের সঙ্গে ফাইট করি। যতটুকু খেলি বা যত ম্যাচই খেলি। সত্যি কথা বলতে প্রি প্ল্যান ছিল না। চিন্তা করেছি ডাবল সেঞ্চুরিটা যদি করতে পারি আমার ছেলের জন্য করব।
উইকেট এবং প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ
আমি মনে করি যে সবচেয়ে সহজ উইকেট ছিল। ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেটটা আদর্শ। ওদের থ্রেট বোলার ছিল না, সুইং, রিভার্স সুইং বা স্পিন করছিল এমন বলার নেই। তাই একটু ইজি আমার কাছে মনে হয়েছে।
এখন চাপ মুক্ত কিনা?
চাপমুক্ত হওয়ার কিছু নেই, আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন শেষ টেস্ট ইনিংসেও আমি ৭৪ করেছি। এটা আমার কাছে কখনো চাপ মনে হয় নাই।
আবহাওয়ার কারণে দ্রুত ইনিংস ঘোষণা কিনা?
হতে পারে। আমি জিজ্ঞেস করিনি। মনে হয়, আমাদের খুব ভালো বোলিং আ্যটাক, এর জন্যেই। এই ইনিংসই ইনশাআল্লাহ্ আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে আশা করছি।
টেস্টে কিপিং ছাড়া শুধু ব্যাটিং সম্পর্কে
আমার মনে হয় যে এটা আমার কাছে সহজ। বাস্তবতা অবশ্যই মানতে হবে, আমার যে বয়স হচ্ছে এইটাও মানতে হবে। ফিল্ডিংয়ে থাকলে আমি রিল্যাক্স থাকতে পারি, এজন্য ফোকাসটা আমি ব্যাটিংয়ে আরও বেশি দিতে পারি। তবে আল্লাহ রহমতে ভালো যাচ্ছে, আশা করছি এটা কন্টিনিউ করার।
নিজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে
আপনি ১০, ১২ বছর বা ১৫ বছর খেলার পর যে ইনভেস্টমেন্ট সবাই করেছে এটার রিটার্ন দেওয়া উচিত এবং ধারাবাহিকভাবে। প্রত্যেকটা ইনিংস আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময়গুলো আমি আর ফিরে পাব না। তাই যতটা ভালো খেলা যায়।
তামিমকে টপকে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক
বাংলাদেশে আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। ওর সঙ্গে সবসময় একটা প্রতিযোগিতা থাকে আমার। হেলদি কম্পিটিশন। ও আমাকে অনেক ইন্সপায়ার করে, আমিও করি। যেকোনো দলে এমন একটা প্রতিযোগিতা থাকলে সেটা দলের জন্যই ভালো। আমি মনেপ্রাণে চাই, ও যেন হাই স্কোরার হয়। এটাও চাই যে, ওর চাইতে এক রানও বেশি যেন করতে পারি।
কে সেরা ব্যাটসম্যান
আমি যখন আমার ব্যাটিংয়ের
রিপ্লে দেখি বা আমি হাইলাইটসগুলো দেখি আমার কাছে সে রকম ভালো লাগে না। মনে হয় যদি তামিমের মতো ওই ড্রাইভটা খেলতে পারতাম। বা সাকিবের মতো যদি এই কাটটা খেলতে পারতাম। অনেক কিছু মনে হয় তামিম পারে আমি পারি না। আল্লাহ সবাইকে সব কিছু দেয় না। আল্লাহ আমাকে একটা জিনিস দিয়েছে মাথাটা অন্যদের চেয়ে একটু বেটার।
জিম্বাবুয়ে : প্রথম ইনিংস ২৬৫ ও
দ্বিতীয় ইনিংস ৯/২, (৫ ওভার)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৫৬০/৬, ১৫৪ ওভার, (ডি.) (মুমিনুল ১৩২, মুশফিক ২০৩*, শান্ত ৭১, তামিম ৪১)।