শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নতুন বছরে ভালো করার প্রত্যাশা সাকিবের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নতুন বছরে ভালো করার প্রত্যাশা সাকিবের

ক্রিকেটে ২০২১ সালে সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী। বিশেষ করে টি-২০ বিশ্বকাপে ভরাডুবি। এ ছাড়া টেস্টে ব্যর্থতার পাল্লা তো দিন দিন ভারী হচ্ছেই। তবে নতুন বছরে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে মিডিয়াকে জানালেন, ‘বিশ্বকাপে যেহেতু বড় একটা লক্ষ্য ছিল কিন্তু পূরণ করতে পারিনি, সেদিক থেকে হতাশাজনক। তবে এরকম আগেও হয়েছে যার পর আমরা খুব ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। আশা থাকবে নতুন বছরে আমরা যেন ভালোভাবে কামব্যাক করতে পারি।’

সাকিব বলেন, ‘অনেক জায়গায়ই উন্নতির দরকার আছে। ভালো খেললেও দরকার আছে, খারাপ খেললেও দরকার আছে। চেষ্টা থাকবে যেসব জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন সবাই মিলে বসে যেন চিহ্নিত করা যায়। সেসব জায়গায় যেন আমরা উন্নতি করতে পারি।’

দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে জাতীয় দল এখন নিউজিল্যান্ডে। পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য এই সফর থেকে ছুটি নিয়েছেন সাকিব। তবে সতীর্থদের শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি আশা করছেন, টাইগাররা এবার নিউজিল্যান্ডে ভালো কিছু করবেন। সাকিব বলেন, ‘ব্যাটিংটাও ওখানে ভালো করা যায়। এমনকি শেষবার অনেকেই ১০০ করেছে। তামিম, রিয়াদ ভাই, সৌম্য সবাই ১০০ করেছে। ওখানে আসলে রান করা যায়, এই বার্তাটা থাকবে সবার আগে।’

অনেক দিন থেকেই সাকিব টেস্টে নিয়মিত নন। বেশ কিছু টেস্ট সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে খেলেননি। এরপর ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নির্বাসিত ছিলেন তিনি। এবার নিউজিল্যান্ড সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। তাহলে কি সাকিব টেস্ট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন?

এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে সাকিব বলেছেন, ‘আমি বলতে চাই না যে টেস্ট থেকে অবসর নেব। তবে সম্ভবত ২০২২ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের পর আর টি-২০ খেলব না। আমি টেস্ট ও ওয়ানডে চালিয়ে যেতে পারি। এক সঙ্গে তিন ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব।’

করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে বাস্তবতা। কোয়ারেন্টাইন ও বায়ো-সিকিউর বাবলে খেলা নিয়ে বিরক্ত সাকিব। তিনি মনে করেন, এই করোনার মধ্যে খেলা মানে অনেক দিন জেলে থাকার মতো। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ নেই। ‘আপনি যখন সন্তানদের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করার সুযোগ পাবেন না, সেটা নিঃসন্দেহে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি। এটা তাদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে!’

সর্বশেষ খবর