দুর্দান্ত ব্যাটিং করেও জয়ের স্বাদ পাননি তামিম ইকবাল। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে হেরে গেছেন। রোমাঞ্চকর ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৩ রানে হারিয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকাকে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিততে ঢাকার দরকার ছিল ৬ বলে ৯ রান। ক্রিজে তামিম ও কাইস আহমেদ। বোলিংয়ে মৃত্যুঞ্জয়। বিপিএলের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত একমাত্র ‘হ্যাটট্রিক ম্যান’ মৃত্যুঞ্জয় দুর্দান্ত বোলিং করেন ম্যাচ নির্ধারণী ওভারে। বাঁ হাতি পেসার প্রথম বলে স্লোয়ারে বোল্ড করেন কাইসকে। টাইগার বাঁ হাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ৮ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বল ডট দেন। ওভারের চতুর্থ বল ওয়াইড করেন মৃত্যুঞ্জয়। পরের বলে নাঈম প্রান্ত বদল করেন। ৭৩ রানে ব্যাটিংয়ে থাকা তামিমের সামনে টার্গেট তখন ২ বলে ৭ রান। ছক্কা মারলে ‘টাই’। এমন সমীকরণের বলটি দুর্দান্ত ইয়র্কার করেন বাঁ হাতি পেসার। ব্যাটেই লাগাতে পারেননি বাঁ হাতি ওপেনার। এক বল বাকি থাকতেই আগাম জয়োৎসব শুরু করেন মৃত্যুঞ্জয়। তখনো ঢাকার আশা ছিল। এজন্য শেষ বলে ৬ মারতে হতো মাহমুদুল্লাহ বাহিনীকে। এমন সময় ফুলটসে ‘নো’ বল করেন মৃত্যুঞ্জয়। ফ্রি হিটে এক রানের বেশি নিতে পারেননি নাঈম। জিতে যায় চট্টগ্রাম। এই জয়ে চট্টগ্রামের পয়েন্ট ৯ ম্যাচে ৮। হেরে ঢাকার পয়েন্ট পয়েন্ট ৮ ম্যাচে ৭।
বিপিএলের শুরুতে তামিম জানান, আগামী ৬ মাস আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলবেন না। ওই ঘোষণার পর পরই রান বন্যায় ভাসাতে থাকেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক। আসরে তামিম ছাড়া ওপেনার হিসেবে একমাত্র ছন্দে রয়েছেন লিটন দাস। এছাড়া আর কোনো ওপেনার ছন্দে নেই। ঢাকার হয়ে ৭ ম্যাচে ১৩৪.৫৩ স্ট্রাইক রেটে ৩৩৫ রান করেন। যাতে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি ছাড়াও রয়েছে তিনটি হাফসেঞ্চুরি। গতকাল টান টান উত্তেজনার ম্যাচে ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খেলেন মাত্র ৫৬ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায়। আগের ম্যাচে কুমিল্লার বিপক্ষে ৪৬, সিলেট ১১১*, ৩ সিলেট, ০ বরিশাল, ৫২ চট্টগ্রাম ও ৫০ রান করেন খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। ঢাকা আগের ম্যাচে চট্টগ্রামের কাছে হেরেছিল ৩০ রানে। গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে ১৪৯ রানের টার্গেটে ঢাকা সংগ্রহ করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান। আসরে দারুণ খেলতে থাকা ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ২৪ ও শুভাগত হোম ২২ রান করেন। চট্টগ্রামের হ্যাটট্রিক ম্যান মৃত্যুঞ্জয় শেষ ওভারে ৪ রান। উইকেট নেন কাইসের। ম্যাচে তার স্পেল ৪-০-২১-২।