সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মরুভূমিতে ঘাম ঝরালেন রোনালদোরা

মরুভূমিতে ঘাম ঝরালেন রোনালদোরা

তিনি আসবেন বলে মরুভূমির গরমে শরীর পুড়িয়ে অপেক্ষায় আছেন সারা বিশ্ব থেকে ছুটে আসা গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়ার শখানেক সাংবাদিক। তিনি আসবেন বলে সৌন্দর্য সচেতন নারী সাংবাদিকরাও রোদচশমা চোখে রোদে পুড়ছিলেন। হঠাৎ করেই পর্তুগিজ জাতীয় ফুটবল দলের এক অফিশিয়াল পর্দাঘেরা বাউন্ডারির ওপার থেকে হাঁক ছাড়লেন, গেট খুলে দাও। মিডিয়ার জন্য নির্ধারিত দরজা খুলে যেতেই হুমড়ি খেয়ে পড়লেন সংবাদকর্মীরা। ক্যামেরা, ভিডিওফোন নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে দখলে নিলেন সুবিধাজনক স্থান। কয়েক মিনিট পরই আল শাহানিয়্যা স্টেডিয়ামের এক উন্মুক্ত কোণ দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে শুরু করলেন পর্তুগিজ ফুটবলাররা। কিন্তু তিনি কোথায়! ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো! বিশ্বসেরা ফুটবলার এলেন একেবারে শেষের দিকে। গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিওকে সঙ্গে নিয়ে।

দোহা শহর থেকে অনেকটা দূরে আল শাহানিয়্যা। সরাসরি ট্যাক্সি করে গেলে সময় এবং অর্থ খরচের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। মেট্রোতে করে কিছুদূর এগিয়ে তারপর ট্যাক্সি নিলে পথ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। দোহা থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আল শাহানিয়্যা স্পোর্টস ক্লাবেই পর্তুগালের ঘাঁটি। এখানেই বিশ্বকাপের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা। কাতারের প্রায় পেটের মধ্যে অবস্থিত এই শহর ঘিরে আছে মরুভূমি। কোথাও কোথাও মরুদ্যান চোখে পড়ে। বাকিটা কেবল ধু-ধু বালি। সূর্য্যরে তাপ আর উত্তপ্ত বালিকণা মিলিয়ে চারপাশের আবহাওয়া হয়ে উঠে অসহনীয়। মাঝে মধ্যেই ছুটে আসে লু হাওয়া (মরুভূমির উত্তপ্ত বাতাস)। জোরাল বাতাস নিয়ে আসে ধূলিঝড়। অন্ধ করে দেয় পথিককে। চারপাশে মরুভূমি থাকলেও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি চমৎকারভাবে সাজানো-গোছানো এবং নিরাপদ। আল শাহানিয়্যা স্পোর্টস ক্লাবের মাঠটা চারদিক দিয়ে ঘিরে রাখা। বাহির থেকে উঁকি মেরে ভিতরের কিছু দেখার উপায় নেই। সীমারেখা অতিক্রম করলেই পৃথিবীর নানা দেশ থেকে বিশ্বকাপে আসা নিরাপত্তারক্ষীরা বিনয়ের সঙ্গে নিষেধ করেন। বাড়াবাড়ি করলেই বিপদ। এখানে আইন মানাটা বেশ জরুরি। সে যেই হোক। গতকাল স্থানীয় সময় পৌনে ১০টায় আল শাহানিয়্যার এই ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিতেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য একজন ফুটবলারকে নিয়ে আসে পর্তুগালের মিডিয়া অফিসার। এরপর ১৫ মিনিটের জন্য রোনালদোদের অনুশীলন দেখার সুযোগও দেন তারা।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো মাঠে নামতেই সংবাদ কর্মীদের তৎপরতা বেড়ে যায়। সবাই পাখির চোখ করে রাখেন তাকে। ক্যামেরার চোখ অনুসরণ করে রোনালদোর প্রতিটা চলাফেরা। প্রথমে তিনি এক বৃত্তে ঢুকে পড়েন। সেখানে বল নিয়ে চালাচালি করে দৌড়ে ছুটে যান ব্রুনো ফার্নান্দেজ, পেপেদের কাছে। তাদের সঙ্গে মিলে ওয়ার্মআপ করতে থাকেন। হঠাৎ করেই বল নিয়ে কারিকুরি দেখাতে শুরু করেন। বাঁ পায়ের ছোঁয়ায় বলকে বাতাসে ভাসিয়ে সামনে নিয়ে আসেন। তারপর ডান পায়ের টোকায় সামনে এগিয়ে দিয়ে ছুটতে থাকেন।

সর্বশেষ খবর