শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রোনালদো কি এখন অস্তমিত সূর্য

রোনালদো কি এখন অস্তমিত সূর্য

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলদাতা। ৩৮ ছুঁই ছুঁই বয়সেও প্রতিপক্ষের ডিফেন্স লাইনের জন্য ভয়ংকর তিনি। দলে থাকলেই বিপক্ষ দলকে নানা পরিকল্পনা করতে হয় তাকে নিয়ে। কিন্তু বিশ্বকাপে ভিন্ন দৃশ্যই তুলে ধরছে পর্তুগাল। গ্রুপপর্বে রোনালদো দলে ছিলেন নিয়মিত। কিন্তু নকআউট পর্বে তাকে প্রথম একাদশে রাখেননি কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। শেষ ষোলোতে সুইজারল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল পর্তুগিজরা। যে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে শীর্ষ ফেবারিট ব্রাজিলকেও। তাহলে কি রোনালদো না থাকলেই ভালো হয় পর্তুগালের!

আজ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ খেলতে নামছে পর্তুগাল-মরক্কো। গতকাল অফিশিয়াল সংবাদ সম্মেলনে রোনালদোর খেলা না খেলা নিয়েই প্রশ্ন হলো অনেকগুলো। পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোসও বেশ ধীরস্থিরভাবে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলেন। ‘রোনালদো না খেললে পর্তুগাল ভালো খেলে, এটা ঠিক নয়। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী দল সাজাই। সেভাবেই দল মাঠে খেলে।’ রোনালদোর কি মন খারাপ? পর্তুগিজ মিডিয়াতেই খবর বেরিয়েছে, কোচের সঙ্গে নাকি দ্বন্দ্ব চলছে রোনালদোর। ফার্নান্দো বিষয়টা একেবারেই অস্বীকার করলেন। তার পাল্টা যুক্তি, তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস রোনালদো। মাঠে তরুণ ফুটবলারদের খেলা দেখে রোনালদো হাততালি দিয়ে উৎসাহ দেন। পর্তুগিজ কোচ ভিন্ন যুক্তি দেখালেও বাস্তবতা ভিন্ন। রোনালদোকে ছাড়া গত ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছেন হুয়াও ফেলিক্সরা। প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছেন ৬ গোল। বিশ্বকাপে এখন লম্বা রেসের ঘোড়া পর্তুগাল। আজ মরক্কোকে হারাতে পারলেই তারা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে আসবে।

এর আগে ১৯৬৬ ও ২০০৬ সালে সেমিফাইনাল খেলে পর্তুগিজরা।

রোনালদোকে মূল দলের সঙ্গে অনুশীলন করাননি কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। এতে অনেকেই ধারণা করছেন, আজও আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা প্রথম একাদশের বাইরেই থাকতে পারেন। এ ব্যাপারে ফার্নান্দো বলেন, ‘আমরা নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী দল সাজাব। তবে এসব ব্যাপারে আলাপ করার আগে আমাদের রোনালদোর অবদানের কথা মনে রাখা উচিত। তাকে তার মতোই থাকতে দেওয়া উচিত।’

পর্তুগালের প্রতিপক্ষ মরক্কো। তাই নিজেদের সেরা প্রস্তুতিটাই নিচ্ছে পর্তুগাল। কেন? এবারের বিশ্বকাপে চারটা ম্যাচ খেলে অপরাজিত মরক্কো। এর মধ্যে দুটিতে জয় পেয়েছে। একটিতে জয় পেয়েছে টাইব্রেকারে। হারিয়েছে বেলজিয়াম ও কানাডাকে। স্পেনকে বিদায় করেছে শেষ ষোলো থেকে। মরক্কোকে এখন আর কেউ সহজ প্রতিপক্ষ ভাবতে পারছে না। পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দোও তাই বলে গেলেন।

 তিনি বলেন, ‘আফ্রিকান দলগুলোর ফুটবল ঐতিহ্য আছে। তারা দারুণ ফুটবল খেলে। মরক্কোর দিকে দেখুন। দলটার অনেকেই ইউরোপের বড় বড় ক্লাবে খেলে সুনাম কুড়িয়েছেন।’

সর্বশেষ খবর