সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

মেলার দখলে খেলার মাঠ

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

মেলার দখলে খেলার মাঠ

নগরায়ন ও মেলার আগ্রাসন চলছে চট্টগ্রামের খেলার মাঠে। গত কয়েক বছর ধরেই কথিত মেলা কমিটির দখলে থাকছে বেশির ভাগ মাঠ। তার ওপর গত তিন-চার দশকে চট্টগ্রামে তৈরি হয়নি নতুন কোনো মাঠ। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই ‘বিলীন’ হয়ে যাবে চট্টগ্রামের খেলার মাঠ।

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চটগ্রামে আসলেই খেলার মাঠ সংকট। আমরা এ সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য চেষ্টা করছি। নতুন ডিসিও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। জঙ্গল ছলিমপুর এলাকায় তিনটি পৃথক মাঠ বরাদ্দের জন্য আলোচনা চলছে। এখানে পৃথক তিনটি খেলার মাঠ করতে পারলেই, আমি আশাবাদী জাতীয় দলে আরও বেশি খেলোয়াড় যাবে চট্টগ্রাম থেকে।

নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠটি বছরের বেশিরভাগ থাকে মেলার জন্য বরাদ্দ। জাম্বুরি মাঠকে করা হয়েছে শিশু পার্ক। জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের মাঠটি খেলাধুলার উপযোগী ছিল। এখন সে মাঠে ঈদগাহ নির্মাণ করা হয়েছে। তার মধ্যে কিছু অংশে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে যে জায়গা খালি আছে তাতেই খেলাধুলা করে উঠতি বয়সী  ছেলেমেয়েরা। লালদীঘি মাঠটি কয়েক বছর ধরে সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ থাকলেও চলতি বছরের শুরুতে তা উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে আশার আলো হচ্ছে, অধিকাংশ মাঠ নানাভাবে দখল হলেও এখনো উন্মুক্ত চকবাজার প্যারেড মাঠ (চট্টগ্রাম কলেজ মাঠ)। সেখানেও সম্প্রতি সময়ে সিটি করপোরেশন নানা আয়োজন শুরু করেছে।

চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়াম মাঠেই প্র্যাকটিস করেছেন অনেক জাতীয় খেলোয়াড়। তার মধ্যে সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, ফজলে রাব্বী রুবেল, নাফিস ইকবাল, আফতাব, নাজিম উদ্দিন, তামিম ইকবাল। আউটার স্টেডিয়ামের মাঠ বছরের সব সময় বিভিন্ন মেলার আয়োজকদের দখলে থাকে। তা থেকে দীর্ঘদিন চট্টগ্রামের ক্রীড়াপ্রেমীরা মুক্তির জন্য আবেদন করছে। ক্রীড়াপ্রেমীদের দাবি, মেলা হোক আর যাই হোক অন্য কোনো জায়গায় হলেই তো হয়। কেন বার বার আউটার স্টেডিয়ামকে মেলার কাছে বন্দি হয়ে থাকতে হবে। শহরে আরও অনেক জায়গা আছে, সবার উচিত চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আউটার স্টেডিয়ামে সব ধরনের মেলা বন্ধ করার দাবিতে একমত হয়ে আন্দোলন করা। তাহলেই মাঠ সংকট থেকে আগামীর প্রজন্ম মুক্তি পাবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত ৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে খেলার মাঠ আছে মাত্র ১৭টি স্কুলে। ৩১টি বিদ্যালয়ে নেই কোনো খেলার মাঠ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর