বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

টার্গেট এবার ৪০০

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড শেষ ওয়ানডে আজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টার্গেট এবার ৪০০

আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে রেকর্ড ভাঙার খেলায় মেতেছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ৩৩৮ রান করে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই রেকর্ড ভেঙে ৩৪৯ রান। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড জানালেন, সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪০০ রান করাও সম্ভব।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথমটিতে রেকর্ড ব্যবধানে জিতে ১-০তে এগিয়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ আইরিশদের ৩৫০ রানের টার্গেট দিলেও বৃষ্টিতে ম্যাচ প- হয়ে যায়। আজ সিরিজের শেষ ও তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে সিরিজ।

আজকের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করলে ৪০০ রান করা সম্ভব! ডোনাল্ড বলেন, ‘এখানে ৪০০ রান করা সম্ভব। অবশ্যই সম্ভব। আমাদের ওই জুটিগুলো আরও বড় করতে হবে, ম্যাচটাকে আরও গভীরে নিতে হবে।’

কীভাবে ৪০০ রান করা সম্ভব, সেই পথটাও দেখিয়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড। তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে দুজন ৯০ রান করে আউট হয়েছেন। পরের ম্যাচে দুজন ৭০ করেছেন। মুশফিক অবশ্য ইনিংসটাকে বড় করেছে, ১০০ করেছে। আমরা ওই জুটিগুলোকে আরও গভীরে নিতে চাই। আয়ারল্যান্ডকে শেষ ১০ ওভারে নিতে চাই ৭ অথবা ৬ উইকেট হাতে রেখে। যেন আমরা আরও বেশি রান নিতে পারি। আমরা ওই জুটিগুলো আরও লম্বা করতে পারব।’

সিলেটের উইকেট মনে ধরেছে বোলিং কোচের। এই উইকেটের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটগুলোর দারুণ মিল খুঁজে পান ডোনাল্ড। তিনি বলেন, ‘এখানে যে উইকেট ছিল, সেটা অনেকটা দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটের মতো। দারুণ বাউন্স। আর রাতে শিশিরের কারণে আরও দ্রুত হয়। শট খেলার জন্য আদর্শ উইকেট। এখানে উইকেটে সেট হয়ে গেলে বড় ইনিংস খেলা উচিত।’

সিলেটের কিউরেটরের প্রশংসা করে বলেন, ‘এখানকার কিউরেটর খুব ভালো উইকেট বানিয়েছে। এই উইকেটে পেস ও বাউন্স আছে, ধারাবাহিকভাবে বল ক্যারি করেছে। ফলে পেসাররা ম্যাচে ছিল ভালোভাবেই। আবার এ জন্য ব্যাটসম্যানরাও রান পাচ্ছে।’

সিলেটের উইকেটে স্পিনারদের জন্য বাড়তি কোনো সুবিধা নেই। সে কারণে ইউরোপে খেলতে গেলে তা খুবই কার্যকরী হবে। আগামী মে মাসে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে আরেকটি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিলেটের এমন উইকেটে খেলার কারণে ওই সিরিজের জন্য দারুণ একটা প্রস্তুতি হচ্ছে বলে মনে করেন ডোনাল্ড, ‘ভালো একটা দিক হচ্ছে, এসব উইকেট আমরা কয়েক মাস পর যেখানে যাচ্ছি, সেখানকার জন্য ভালো প্রস্তুতি। চেমসফোর্ডে যে সিরিজ খেলব, সেখানেও একই ধরনের উইকেট থাকবে। বল ব্যাটে আসবে, তেমন স্পিন করবে না। ফলে যখন পয়েন্টের ম্যাচ হবে, সে সিরিজের জন্য এটি দারুণ প্রস্তুতি।’

চলতি বছর ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এমন উইকেটে খেলতে বিশ্বকাপের জন্যও ভালো প্রস্তুতি হবে বলে মনে করেন ডোনাল্ড, ‘২০১১ সালে ভারতে বিশ্বকাপে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। আমি দেখেছি, সেখানে খুব বেশি উইকেটে টার্ন থাকে না। ফলে এখন থেকে বিশ্বকাপ-যাত্রায় এমন উইকেটে খেলতে হবে। এমন উইকেটে এখন থেকে খেললে মানসিকতায় খুব একটা পরিবর্তন আনতে হবে না।’

 

 

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর