টি-২০ সিরিজ শেষ করে চার্টার্ড বিমানে দিল্লি যান মুস্তাফিজুর রহমান। আইপিএলে ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজ খেলছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের পক্ষে। তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে দিল্লি। কিন্তু একটি ম্যাচেও খেলেননি মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজের দিল্লি পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। লিটন দাসের কলকাতা নাইট রাইডার্স গতকাল আহমেদাবাদে তিন নম্বর ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে জিতেছে। দল যখন খেলছে, তখন কলকাতায় পা রেখেছেন লিটন দাস। ডান হাতি উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন আইপিএলে চলতি মৌসুমে খেলবেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষে। এবারই প্রথম আইপিএল খেলছেন লিটন। শোনা যায়, লিটনকে ১৪ এপ্রিল ইডেন গার্ডেনে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে খেলতে দেখা যাবে। কলকাতায় খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। কিন্তু শুরু থেকে বিসিবির এনওসি পায়নি এবং পারিবারিক কারণে শেষ মুহূর্তে আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সাকিব। প্রথমবারের মতো লিটন আইপিএল কেমন করবেন? ক্রিকেট বিশ্লেষকরা তাকিয়ে আছেন মারকুটে ক্রিকেটার ও ছন্দে থাকা লিটনের দিকে। এই তিন ক্রিকেটারের আগে আইপিএল খেলেছেন আবদুর রাজ্জাক রাজ, মোহাম্মদ আশরাফুল, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তামিম ইকবাল। সাকিব ও মুস্তাফিজ ছাড়া আর কোনো ক্রিকেটারের ওপর বাড়তি আগ্রহ দেখায়নি আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। এবার কি পারবেন লিটন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ধারণা পাল্টাতে?
ফর্মের তুঙ্গে থেকে আইপিএল খেলতে গেছেন লিটন। ঘরের মাঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করেছেন টি-২০ ক্রিকেটে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৩, ৯ ও ১২ এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫, ৮৩ ও ৪৭ রান করেন। ওয়ানডে সিরিজেও দারুণ ছন্দময় ব্যাটিং করেছেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ২৬, ৭০ ও ৫০, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫০*, ৭০ ও ২৬ রান করেন। আইরিশদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ৪৩ ও ২৩ রান করেন। ছন্দে থাকা লিটন কি পারবেন নিজেকে মেলে ধরতে?
সাকিব ও মুস্তাফিজ ছাড়া অপরাপর ক্রিকেটারের কেউই একাধিক মৌসুম খেলতে পারেননি। সাকিব সব মিলিয়ে ৯ মৌসুমে ৭১ ম্যাচে ১৯.৮২ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৭৯৩ এবং উইকেট নিয়েছেন ৭০ ম্যাচে ৬৩টি। সেরা বোলিং ১৭ রানে ৩ উইকেট। মুস্তাফিজ ২০১৬ সাল থেকে খেলছেন। আইপিএলে এখন পর্যন্ত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালসের পক্ষে ৪৬ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৪৬টি। বাঁ-হাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক রাজ ২০০৮ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে এক ম্যাচ খেলে ২ ওভারে রান দিয়েছিলেন ২৯ রান। ২০০৯ সালে মোহাম্মদ আশরাফুল মুুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পক্ষে একমাত্র ম্যাচে ২ রান করেছিলেন ১০ বলে। মাশরাফি বিন মর্তুজা ২০০৯ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষে এক ওভারে ২১ রান দেন। ওই ম্যাচে তিনি ৪ ওভারে রান দিয়েছিলেন ৫৮। তামিম ইকবাল ২০১২ ও ২০১৩ সালে খেলেছিলেন পুনে ওয়ারিয়র্সের পক্ষে খেললেও খেলার সুযোগ পাননি।