ইতিহাস গড়াটা বসুন্ধরা কিংসের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ২০১৮-১৯ মৌসুমে অভিষেকের পর লিগ শিরোপা জিতেই চলেছে। ঢাকা ওয়ান্ডারার্স-আবাহনী ও মোহামেডানের পর কিংসই নতুন দল হিসেবে লিগে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তবে ৭৫ বছরের ইতিহাসে নতুন দল হিসেবে খেলতে এসে কারও টানা তিনবার লিগ জয়ের কৃতিত্ব নেই। তা পেরেছে শুধু বসুন্ধরাই। এবার আরেক ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় তারা। ঐতিহ্যবাহী ওয়ান্ডারার্সেরই টানা চারবার লিগ জয়ের রেকর্ড রয়েছে। কিংস এবার তা স্পর্শ করতে পারে। শুধু তাই নয়, চ্যাম্পিয়ন হলে তা হবে ঘরোয়া ফুটবল আসরে প্রথম ঘটনা। কেননা ওয়ান্ডারার্স টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হলেও তারা তো আর অভিষেকের পর থেকেই হয়নি।
বসুন্ধরা কিংস দুই লেগে ১২ ম্যাচ খেলে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। অন্য দিকে সমান ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর ২৭। সাত পয়েন্টের পার্থক্য, তবে কিংস অধিনায়ক রবসন রবিনহো মনে করেন, শিরোপার পথ এখনো দূরে। ম্যাচে কখন অঘটন ঘটে বলা যায় না। রবসন দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, ‘বসুন্ধরা অপরাজিত থেকেই চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। হাতে এখনো আট ম্যাচ বাকি আছে। কে দুর্বল বা শক্তিশালী সেই পার্থক্য খুঁজছি না। আমি বলব, আমাদের কাছে বাকি সব ম্যাচ ফাইনাল। আমরা ভালো খেলেই এ শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছি। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। দলের দক্ষ ম্যানেজমেন্টে আমাদের মধ্যে চমৎকার সমন্বয় রয়েছে। সবার চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসান ও কোচ অস্কার ব্রজোন বন্ধুসুলভ আচরণ করেন। যা আমাদের মাঠে ভালো খেলার অনুপ্রেরণা জোগায়।’
দুর্বল আজমপুরের বিপক্ষে ড্র প্রসঙ্গে রবসন বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের আরও সতর্ক করে দিয়েছে। আমার বিশ্বাস, সামনের ম্যাচগুলোয় আমাদের সমর্থকরা সাহস জোগাবেন। তাদের চিৎকারই তো আমাদের গতি বাড়িয়ে দেয়।’ সতীর্থ ডরিয়েনটন ও মিগেলের প্রসঙ্গ উঠলে রবসন বলেন, ‘দুজনার নাম আলাদা করে বলছেন কেন? বসুন্ধরায় সবাই জানপ্রাণ দিয়ে খেলছে।’
বসুন্ধরার পরবর্তী ম্যাচ
২৮ এপ্রিল : রহমতগঞ্জ-বসুন্ধরা কিংস
৫ মে : বসুন্ধরা কিংস-মুক্তিযোদ্ধা
১২ মে : পুলিশ-বসুন্ধরা কিংস
১৯ মে : বসুন্ধরা কিংস-চট্টগ্রাম আবাহনী
২৬ মে : শেখ রাসেল-বসুন্ধরা কিংস
২ জুন : বসুন্ধরা কিংস-মোহামেডান
৭ জুলাই : শেখ জামাল-বসুন্ধরা কিংস
১৪ জুলাই : বসুন্ধরা কিংস- ঢাকা আবাহনী