শিরোনাম
রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
বসুন্ধরা কিংস

মিশন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

পরিকল্পনা কাজে লাগাতে হবে মাঠের লড়াইয়ে। বসুন্ধরা কিংস আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পরিচিতি লাভ করেছে। এখন আমাদের পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক ফুটবল ঘিরেই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিশন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

প্রশংসা আর উৎসবে ভাসছে বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা কিংস। শুক্রবার শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে হারিয়ে পেশাদার লিগে টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অন্য ক্লাবেরও চার বা আরও বেশি শিরোপা জেতার রেকর্ড রয়েছে। তবে ৭৫ বছর ঘরোয়া ফুটবল ইতিহাসে কিংসই প্রথম অভিষেকেই টানা চারবার লিগ জিতেছে। অথচ চলতি লিগে এখনো তাদের তিন ম্যাচ বাকি রয়েছে। এমন ইতিহাস গড়ার পর স্বাভাবিকভাবে উৎসবে মাতোয়ারা কিংস শিবির। শিরোপা জয়ের দিনে রাতভর ক্লাব ভবনে কিংসের খেলোয়াড়রা আনন্দ-উল্লাস করেছেন। মাত্র পাঁচ বছরে কিংস যেভাবে ক্রীড়াপ্রেমীদের মন জয় করেছে তা বিরল ঘটনাই বলা যায়। দক্ষ টিম ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিন ও কমিটমেন্টের কারণে বসুন্ধরা কিংসের শিরোপা জেতাটা যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রফেশনাল লিগের আবির্ভাবের পর কিংসের দুবার করে ফেডারেশন ও স্বাধীনতা কাপের ট্রফিও জেতার রেকর্ড রয়েছে। পাঁচ বছরে আট শিরোপা- এর চেয়ে বড় অর্জন আর কী হতে পারে।

সাফল্য শুধু ঘরেই সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না কিংস। আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলেও এবার তারা আলোড়ন তুলতে চায়। কিংসই দেশের একমাত্র দল অভিষেকেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এএফসি কাপে অংশ নিয়েছে। এএফসি কাপের অভিষেকটাও হয়েছিল দারুণভাবে। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বিধ্বস্ত করেছিল মালদ্বীপ চ্যাম্পিয়নদের। দুর্ভাগ্য তাদের করোনার কারণে সে আসর স্থগিত হয়ে যায়। আরও দুবার খেললেও কিংসকে দেখা যায়নি তাদের চেনা রূপে। এবার তো খেলবে এশিয়ান ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো ক্লাব এত বড় আসরে অংশ নিচ্ছে। আগস্টেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রিলিমিনারি রাউন্ডের ম্যাচ বসুন্ধরা কিংসের।

এনিয়ে গতকাল কথা হয় বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘টানা চারবার লিগ জিতে বসুন্ধরা কিংসই ইতিহাস গড়েছে। সবার প্রচেষ্টায় অসম্ভবকে আমরা সম্ভবে পরিণত করেছি। এখন আমরা গুরুত্ব দেব আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আমরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করব। তাই এখানে আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নেব। দুই ধাপ পেরোতে পারলেই আমরা স্বপ্নের আসরে মূল পর্বে খেলতে পারব’। ইমরুল বলেন, ‘পথটা কঠিন কেন না প্রিলিমিনারি রাউন্ড জিতলে প্লে-অফে সুযোগ পাব। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়তে হবে। মূল পর্বে খেলার টার্গেট নিয়ে আমরা লড়ব। খেলোয়াড়রা মাঠেই থাকবে। এখানে কারোর ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না। তবে প্রস্তুতিটা হবে জোরাল। পরিকল্পনা কাজে লাগাতে হবে মাঠের লড়াইয়ে। বসুন্ধরা কিংস আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পরিচিতি লাভ করেছে। এখন আমাদের পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক ফুটবল ঘিরেই’।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর