ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তানের যে কোনো লড়াইয়ে বিশ্ব কাঁপত। ফুটবলে যেমন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়ে যেত। কয়েক বছর ধরে তা ছিল বড্ড ম্লান। ক্রিকেটের কোনো আসরেই ভারতের কাছে পাত্তা পাচ্ছে না পাকিস্তান। ওয়ানডে বা টি-২০ বিশ্বকাপে দাপট ধরে রেখেছে ভারত। সদ্যসমাপ্ত এশিয়া কাপেও একই অবস্থা। ফাইনালসহ টানা তিন ম্যাচেই পাকিস্তানের হার। শুভমন গিলদের হারাতে ভুলে গেছেন শাহিন আফ্রিদিরা। ম্যাচে যা-ই ঘটুক না কেন, উত্তেজনা আবার ফিরে এসেছে দুই দেশের লড়াইয়ে। নোংরা রাজনীতি প্রবেশ করেছে ক্রিকেট মাঠে, যা নিয়ে বিশ্ব তোলপাড়।
নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তানের মেয়েরা মুখোমুখি হচ্ছেন আজ। বিশ্বকাপের আয়োজক বলেই ভারতে খেলতে যায়নি পাকিস্তান। আইসিসি তাদের ম্যাচ আয়োজন করছে শ্রীলঙ্কায়। তাই কলম্বোতেই দুই দেশের মেয়েরা খেলবেন। সত্যি বলতে কি, নারী ক্রিকেটে পাকিস্তানের অবস্থা এত নাজুক যে ভারতের সঙ্গে তুলনা চলে না। নারী বিশ্বকাপ ৫০ ওভারের অর্থাৎ ওয়ানডে ম্যাচ। সেই ওয়ানডেতে দুই দেশ ১১ বার মুখোমুখি হলেও পাকিস্তান কখনো ভারতকে হারাতে পারেনি। আজ বড় কোনো অঘটন না ঘটলে ভারতের জেতার সম্ভাবনা বেশি। ভারত বিশ্বকাপ শুরুটা করেছে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সামনে পাকিস্তান দাঁড়াতেই পারেনি। এতে বোঝা যায় পাকিস্তানি মেয়েদের পারফরম্যান্স কেমন। পুরুষের মতো নারী ক্রিকেটেও দুই দেশের লড়াইয়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তবে তা ম্যাচ নয়, এশিয়া কাপে ঘটে যাওয়া নানান কাণ্ড নিয়েই। ম্যাচটি শুরু হবে বেলা সাড়ে ৩টায়। ব্যাটবলের লড়াইয়ের চেয়ে দৃষ্টি থাকবে দুই দেশের মেয়েরা একে অন্যের সঙ্গে হাত মেলাবেন কি না। এশিয়া কাপের তিন ম্যাচেই এবার যা ঘটেছে তা ক্রিকেটের জন্য বড় লজ্জাও বলা যায়। সম্পর্কের যতই অবনতি ঘটুক, খেলার মাঠে করমর্দন করবে না, তাকে অষ্টম আশ্চর্য বললেও ভুল হবে না। এমনকি টস করার সময় দুই অধিনায়ক একে অন্যের দিকে তাকাননি। এসব ঘটনায় আজকের ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। নারী ক্রিকেটেও কি সেই লজ্জার দেখা মিলবে? নাকি হাত মিলিয়ে সৌহার্দ বিনিময় করবেন। ফাইনালে যা ঘটেছে তা তো আরও বড় ঘটনা। এসিসির সভাপতি পাকিস্তানি বলেই ভারতীয়রা ট্রফি নেননি। এসিসির সভাপতিও কম যান না। তিনি ট্রফি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। বলেছেন, ট্রফি ভারতকে দেওয়া হবে ঠিকই তবে তা নিতে হবে তাঁর হাত থেকেই। বিশ্বকাপে এমনটি ঘটার সম্ভাবনা নেই।
কেননা ফাইনালে ভারতের যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও পাকিস্তানের একেবারেই নেই। আলোচনা তাই করমর্দন নিয়েই। এশিয়া কাপের সেই নোংরা দৃশ্য কি বিশ্বকাপেও দেখা মিলবে?