উসেইন বোল্টের সাফল্যের রহস্যবিজ্ঞানীরা সম্ভবত বের করে ফেলেছেন। তাঁর সাফল্যের পেছনে রয়েছে নিখুঁত হাঁটু। হাঁটুর জোরেই নাকি তিনি অ্যাথলেটিক্স বিশ্ব কাঁপাচ্ছেন। এমনটাই বলছেন তারা।
জামাইকান অ্যাথলিটদের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যে তরুণদের পা বিশেষ করে হাঁটু চমৎকার আছে, তারাই ভালো স্প্রিন্টার হতে পারছেন। এই সমীক্ষা ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে। ৩০০ জন স্কুল অ্যাথলিটের ৮ বছর থেকে ২২ বছর পর্যন্ত বেড়ে ওঠা দেখার পরে সিদ্ধান্তে এসেছেন বিজ্ঞানীরা।
নতুন পরীক্ষায় দেখা গেছে, যে অ্যাথলিটদের হাঁটু এক রকম, তারাই স্প্রিন্ট করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তারা সাফল্য দেখিয়েছেন ১০০ মিটার, ২০০ মিটারে। তাদের সময়ও ভালো দুটো ইভেন্টে।
নর্থুম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জন মানিং বলেছেন, দুই হাঁটুতে সিমেট্রি থাকলে অ্যাথলিটরা সাফল্য পেতে পারেন। বোল্টের ক্ষেত্রেও এক কথা প্রযোজ্য। তবে আমাদের সিমেট্রি তত্ত্বকে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে আরও গবেষণা দরকার।
এই মুহূর্তে জামাইকান অ্যাথলিটদের দিকে সন্দেহের তীর ছোঁড়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, ডোপ করেই এমন সাফল্য পাচ্ছেন তারা। এক ঝাঁক অ্যাথলিট সাসপেন্ড হয়ে রয়েছেন। বোল্ট, ব্লেকদের দিকেও অনেকে আঙুল তুলেছে। মেয়েদের এক নম্বর স্প্রিন্টার শেলি অ্যান ফ্রেজার এ নিয়ে তোপ দেখেছেন ডোপিংবিরোধী সংস্থা ওয়াডার দিকে। তার তোপ বোল্টের মতো সতীর্থদের দিকেও।
তিনি বলেছেন, কেন বোল্টের মতো সুপারস্টার ওয়াডার কার্যকলাপের প্রতিবাদ করছে না। এজন্য মুখ পুড়ছে দেশের অ্যাথলিটদের।
নতুন গবেষণার ফলে জামাইকান অ্যাথলিটরা এবার বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।