পার্থক্যটা গোলের হিসেবেই থেকে গেল। পয়েন্টের ব্যবধান নিয়ে লা লিগায় এককভাবে শীর্ষে উঠার সুযোগটা কাজে লাগল না। বার্সেলোনা এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, দুই দলের জন্যই কথাগুলো সত্যি। শনিবার ভিসেন্ট ক্যালডেরন স্টেডিয়ামে লা লিগায় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নেমেছিল বার্সেলোনা-অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। লড়াইটা অমীমাংসিতই থেকে গেল। গোল শূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লা লিগায় সমান্তালে চলমান দুই দল।
বার্সা-অ্যাটলেটিকোর ড্রতে লাভবান হলো রিয়াল মাদ্রিদ। দুই দলের সঙ্গেই পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে আনার সুযোগ ধরা দিল লস ব্ল্যাঙ্কোসদের সামনে। ১৯ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শীর্ষে অবস্থান করছে বার্সেলোনা। সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। গত রাতে রিয়াল মাদ্রিদ জয় পেয়ে থাকলে রোনালদোদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪৭ পয়েন্টে। অর্থাৎ, এক ম্যাচের ব্যবধানে দাঁড়িয়ে আছে বার্সা-রিয়াল! লা লিগার শিরোপা দৌড়ে রিয়াল মাদ্রিদের সম্ভাবনাও শতভাগ জাগিয়ে দিয়েছে বার্সা-অ্যাটলেটিকোর ড্র।
গত শনিবার ভিসেন্ট ক্যালডেরনে বার্সেলোনা নেমেছিল পুরো শক্তি নিয়েই। লিওনেল মেসি এবং নেইমার ম্যাচের প্রথম থেকে মাঠে ছিলেন না। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মাঠে নামেন মেসি। প্রথমার্ধের এলোমেলো বার্সেলোনার শক্তিটা দ্বিতীয়ার্ধে ঠিকই চোখে পড়েছে ক্যালডেরনের দর্শকদের। চোখে পড়েছে দিয়েগো কস্তার বেশ কিছু দুর্দান্ত আক্রমণ এবং ভিক্টর ভালদেজের অসাধারণ সেভ গুলোও। লিওনেল মেসি অবশ্য নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্তত ৬৯ মিনিটে গোলটা করা উচিত ছিল তার। আলবা-মেসির এই আক্রমণটা ব্যর্থ হয় মেসির ভুলেই। ৮২ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত এক আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন অ্যাটলেটিকোর গোলরক্ষক থিয়াবট কর্টোয়েস।
মেসি-নেইমারকে প্রথম একাদশে না রেখে কোচ জেরার্ডো মার্টিনো কি ভুল করেছেন? এই প্রশ্নটা তীব্র গতিতে ছুটে আসছে মার্টিনোর দিকে। শুরু থেকে মাঠে থাকলে খেলার গতিপথটা পরিবর্তন করতে পারতেন হয়ত মেসি-নেইমার। কিন্তু মার্টিনো নিজের সিদ্ধান্তকেই সঠিক মনে করছেন। 'তারা প্রথম একাদশের জন্য এখনো প্রস্তুত হয়নি। এমনকি তাদেরকে (মেসি-নেইমার) দ্বিতীয়ার্ধেরও বিশ মিনিট পর মাঠে নামানোর পরিকল্পনা ছিল। ইনিয়েস্তা আঘাত পাওয়ার ফলেই মেসিকে মাঠে নামতে হয়েছে পরিকল্পনার আগে।' ম্যাচটা ড্র হলেও বার্সেলোনার খেলাতে সন্তুষ্ট কোচ মার্টিনো। সন্তুষ্ট প্রতিপক্ষ কোচ সাইমনও। তিনি বলছেন, 'বার্সেলোনার জন্য আমাদের হৃদয়ে অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে।' তবে সাইমন দুই দলের মধ্যে কেবল ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর পার্থক্যই দেখছেন। এই বাজেট যদি অ্যাটলেটিকো তার হাতে দিতে পারে তবে তিনিও তার দলকে বার্সেলোনার মতোই শক্তিশালী দলে পরিণত করতে পারবেন।