সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রাতের অন্ধকারেই ছড়িয়ে পড়ল মধ্যাহ্নের উত্তাপ। অাঁধার ফুড়ে দেখা দিল আলোর ঝলকানি। কখনো মেসি কখনো রোনালদোর আলোয় আলোকিত বার্নাব্যু। শেষ হাসিটা হেসেছেন মেসিই। এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করে বার্সেলোনাকে উপহার দিয়েছেন ৪-৩ ব্যবধানের জয়। তারপরও ম্যাচে উত্তাপের পরিমাণ বিন্দুমাত্র কমেনি। যে উত্তাপ উপভোগ করার আশায় মাঠে এসেছিলেন প্রায় নব্বই হাজার দর্শক। যে উত্তাপ উপভোগ করার অপেক্ষায় রাত জেগে টিভি সেটের সামনে বসেছিলেন কোটি কোটি ফুটবলভক্ত। আশা পূরণ হয়েছে ভক্তদের। এমন ম্যাচ কালেভদ্রেই দেখা যায়। লা লিগার শিরোপা নিয়ে এতটা টানাটানি গত এক দশকে খুব কমই হয়েছে। চলতি মৌসুমে যেমন ২৯ ম্যাচ শেষ করেও লিগ শিরোপার সমান দাবিদার তিনটা দল। রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সংগ্রহ ৭০ পয়েন্ট করে। ৬৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে বার্সেলোনা পিছিয়ে থাকলেও রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে তারা লিগ শিরোপার দাবিতে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে গেছে। কার্লো আনসেলত্তির শিষ্যরা এখন এমন এক গাড়িতে সওয়ার যা গিরিখাদের কিনারায় পৌঁছে গেছে। একটু নাড়া লাগলেই ছিটকে পড়বে গভীর থেকে গভীরে!
বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচে মেসি-রোনালদো লড়াই হবেই। কিন্তু রবিবারের লড়াইটা একতরফাই হলো। এমনকি নেইমার কিংবা বেলেরাও ম্যাজিক্যাল মেসির ফুটবল প্রদর্শনীর দর্শক হয়ে রইলেন। মেসি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে মেসির হ্যাটট্রিক। কিন্তু এই হ্যাটট্রিকের মহত্তম দিক অন্যখানে। বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন জাদুকর এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে ছাড়িয়ে গেছেন আলফ্রেডো ডি স্টেফানোকে (১৮ গোল)। ২১ গোল করে তিনিই এখন সবার উপরে।