দুই দলের শেষ মুখোমুখিতে ৮৮ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। ওই আত্মবিশ্বাসই কাল অসাধারণ করে তুলেছিল তামিমকে। চোখধাঁধানো দুই দুটি ক্যাচ নেন এই ড্যাসিং বাঁ হাতি ক্রিকেটার। একটি আবার টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরাও হতে পারে! ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে শর্ট থার্ডম্যানে শূন্যে শরীর ভাসিয়ে যেভাবে ক্যাচটি নেন তিনি, এ রকমটা শুধু ফুটবল গোলরক্ষকদের পক্ষেই সম্ভব। ওই ক্যাচের আগের ওভারে আরেকটি ক্যাচ নেন লং অফে। এই দুই ক্যাচ ছাড়া বিস্ময়কর ছিল আল-আমিনের করা শেষ ওভার। ওই ওভারে হ্যাটট্রিকের আশা জাগিয়ে আল-আমিন মাত্র ৪ বলের ব্যবধানে তুলে নেন ৩ উইকেট। তামিমের দুই ক্যাচ এবং আল-আমিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭১ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ।
ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা ক্রিস গেইল। ভাড়াটে ক্রিকেটার হিসেবে ক্রিকেটবিশ্বের চারিদিকে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে বেড়ানো মারকাটারি গেইলকে কাল ছায়াই মনে হয়েছে মিরপুরে। টি-২০ ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান এই জ্যামাইকানকে কাল বেঁধেই রেখেছিলেন সাকিব আল হাসানরা। টাইগার স্পিনাররা উইকেটের বাড়তি সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে এতটাই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন যে, শেষ পাঁচ ওভার ছাড়া কোনো সুবিধাই করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। ড্যারেন স্যামিরা শেষ ৫ ওভারে সংগ্রহ করে ৫৫ রান। অবশ্য এই রান করতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অবদান রাখেন বিরাট। জিয়াউর রহমানের পরপর দুই বলে দুই দুটি ক্যাচ মিস করেন মাহমুদুল্লাহ। দুটিই ছিল গেইলের। যিনি ৪৮ বলে করেছেন ৪৮ রান। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে গেইলের সর্বোচ্চ রান ছিল ৬।
রাতের শিশিরে ভেজা বল গ্রিপ করতে অসুবিধা, তাই টস জিতে ফিল্ডিং নিতে সময়ক্ষেপণ করেন না কোনো অধিনায়ক। অপরাপর অধিনায়কদের পথেই কাল হাঁটেন টাইগার অধিনায়ক মুশফিক। টস জিতেই ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামিকে। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি মুশফিকবাহিনীর। প্রথম বলেই ওয়াইডসহ পাঁচ রান দেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তারপরও পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৬ রান দেয় টাইগাররা। স্পিনাররা আসার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানের গতি হয়ে পড়ে স্লো। প্রথম ১৫ ওভারে তাদের রান ছিল ২ উইকেটে ১১৬। এর মধ্যে ওপেনার ডুয়াইন স্মিথ করেন ৪৩ বলে ৭২ রান। যাতে ছিল ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা। শেষ পাঁচ ওভারে ক্যাচ মিস ও বাজে ফিল্ডিংয়ে ৫৫ রান করে। সাকিবের তৃতীয় ওভারে আবার পরপর দুটি বাই চার দেন উইকেটরক্ষক মুশফিক। ওই ওভারে রান আসে ২০। এছাড়া জিয়ার ওভারে মাহমুদুল্লাহ দুটি ক্যাচ মিস করায় রান আসে ১৬।