ম্যাচ শুরুর আগে মাঠে দাঁড়িয়ে ম্যাচের বুধ, ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলছিলেন 'প্রিন্স অব ক্যালকাটা' সৌরভ গাঙ্গুলি এবং 'পিন্ডি এক্সপ্রেস' শোয়েব আক্তার। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের ফল কি হবে, কি করা উচিত টস জিতে, একাদশ সাজানো উচিত কিসের উপর ভিত্তি করে- কাটাছেঁড়া করছিলেন দুই ক্রিকেট তারকা। ক্যামেরার মুখোমুখি হওয়ার আগে সবাইকে বিস্মিত করে হঠাৎ করেই বোলিং শুরু করেন গাঙ্গুলি! তবে খুব বেশি বল করেননি ভারতের সাবেক অধিনায়ক। ৫-৬টি বল করেন। তাতে ছিল ইন সুইং, আউট সুইং! গাঙ্গুলির কাণ্ড দেখে হাসছিলেন শোয়েব। গুটি গুটি পায়ে এসে যোগ দেন তিনিও। দুই তিনটি বলও করেন। নিজ বোলিং অ্যাকশনে বল হাতে টিপস দেন বন্ধু গাঙ্গুলিকে! এরপর হাসিতে মেতে উঠেন দুই ক্রিকেটার। দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের দুই ক্রিকেটার। ক্যারিয়ারে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন বহুবার। শোয়েবের আগুনের বোলিংয়ের মুখে বাহারি চার-ছক্কাও মেরেছেন গাঙ্গুলি। কাল দুজনেই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের। কিন্তু তাদের চেয়েও এক ধাপ এগিয়ে ছিলেন বাঁ হাতি স্পিনার মুরলি কার্তিক। এক সময়কার ক্রিকেটার, এখন ধারাভাষ্যকার। ভারতের পক্ষে ৮ টেস্ট, ৩৭ ওয়ানডে ও একটি টি-২০ খেলা কার্তিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশের স্পিন বিভাগ অনেক বেশি শক্তিশালী। সাকিব আল হাসানকে টাইগারদের 'প্রাণভোমরা' বলতেও কার্পণ্য করেননি এই বাঁ হাতি স্পিনার।
কার্তিক যতটা আলো ছড়িয়েছেন বল হাতে, তারচেয়ে বেশি আলোচিত ছিলেন তার বর্ণিল চুলের জন্য। এক এক সময় এক রকম হেয়ার কাট থাকত এই বাঁ হাতি স্পিনারের। এখন পুরোপুরি টাক। কাল ধারাভাষ্যরুমের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে মুরালি এ কথা বলেন। তিনি মনে করেন 'বাংলাদেশের মূল শক্তি স্পিন। এখানে বেশ কয়েকজন ভালো স্পিনার রয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন এই স্পিনাররা।' তার মতে 'সাকিব খুবই ভালো অলরাউন্ডার। তার বোলিং ভ্যারাইটি অনেক। এছাড়া তার মাথা যথেষ্ট ঠাণ্ডা। চাপের মুখে ভেঙে না পড়াটা তার অন্যতম বড় গুণ।' অবশ্য ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমকে ভালো মনে হয়েছে তার, 'তামিম খুব আক্রমণাত্মক মেজাজের ক্রিকেটার। মুশফিক টেকনিক্যালি অনেক সাউন্ড। দুজনেই ম্যাচ উইনার।'