আসামোয়াহ জ্ঞানের পেনাল্টি শটটা রুখে দিলেন ফার্নান্দো মুসলেরা। ২০১০ বিশ্বকাপে জোহান্সবার্গের সকার সিটি স্টেডিয়ামের সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে লুইস সুয়ারেজ এই 'মিস'টাকে উদযাপন করলেন সেমিফাইনালে প্রবেশের উপলক্ষ হিসেবে। এর আগের ঘটনাটা সবাই জানে। ঘানার স্ট্রাইকার আদিয়্যাহের শট গোললাইনে দাঁড়িয়ে 'গোলরক্ষকে'র মতোই হাত দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ। অতিরিক্ত মিনিটের ওই গোলটা হয়ে গেলে আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে খেলার স্বাদ পেত ঘানা। অলিম্পিক ফুটবলে আফ্রিকানদের অন্যতম প্রতিনিধি হলো ঘানা। ১৯৯২ সালে বার্সেলোনা অলিম্পিকে জয় করল ব্রোঞ্জ পদক। তবে বিশ্বকাপে তখনো আফ্রিকানদের প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ঘানা। ২০০৬ সালে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটে ঘানার। জার্মানিতে এসে ঘানা প্রমাণ করল, বিশ্বকাপ আরও আগেই খেলা উচিত ছিল তাদের। চেক প্রজাতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে ই গ্রুপ থেকে নকআউট পর্বে ইতালির সঙ্গী হলো ঘানা। ২০১০ সালে আরও এক ধাপ এগিয়ে যায় 'ব্ল্যাক স্টারস'খ্যাত দলটি। উরুগুয়ের বিপক্ষে 'সুয়ারেজে'র ওরকম 'আনপ্রফেশনাল' আচরণটা না হলে ঘানা খেলতে পারত সেমিফাইনাল।
আফ্রিকান ফুটবলের অন্যতম প্রতিনিধি ঘানা টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে হাজির। গ্রুপ পর্বে প্রতিপক্ষ ফেবারিট তকমাধারী জার্মানি এবং পর্তুগাল। এছাড়াও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ফেবারিটদের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে ঘানা। ইউরোপীয়ান ফুটবলকে অনেক আগেই আত্দস্থ করেছে 'কালো তারকা'রা। কেভিন প্রিন্স বুয়েটাঙ (শালকে), মাইকেল এসিয়েন (এসি মিলান), কাওয়াদো আসামোয়াহ (জুভেন্টাস) এবং সুলি মুনতারিরা (এসি মিলান) ইউরোপীয়ান ফুটবলের অন্যতম তারকা। এছাড়াও অধিনায়ক আসামোয়াহ জ্ঞান তো রয়েছেনই। আবেদি পেলের উত্তরসূরিরা এখন নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে জানে। এর প্রমাণ তো গত বিশ্বকাপেই দিয়েছিলেন আসামোয়াহ জ্ঞানরা।