ওজন কমানোর প্রধান উপায় হচ্ছে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। রাত ৯টার পর কোনো ক্রমেই কোনো কিছু খাওয়া যাবে না। অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ঘুমাতে যাওয়ার অনেক আগেই রাতের খাবার খেতে হবে। এতে বিপাকে অনেক উপকার হয়। খাবার দ্রুত হজম হয়ে যায়। শরীরের ফ্যাটকে নিয়ন্ত্রণ করে। খাবারের আগে অন্ততপক্ষে দুই গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে কারও অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের অভ্যাস থাকলে তার জন্য অনেক বেশি কাজে আসবে। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করলে ফ্যাটও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
পুরুষ মহিলা উভয়কেই নিজের শরীরের প্রতি অনেক বেশি যত্নবান হতে হবে। আমাদের দেশে দেখা যায় বেশি সময় পুরুষরা বাইরে কাজ করে বাসায় ফিরেন ক্ষুধার্ত হয়ে। এসব তারা ক্যালরির কথা চিন্তা না করে পেট ভরানোকেই বড় মনে করেন। এক্ষেত্রে স্ত্রীকে অবশ্যই খেলাল রাখতে হবে তার স্বামী অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করছে কিনা সেদিকে।
সব ধরনের কোমল পানীয় বর্জন করা ভালো। তবে যাদের বিয়ার খাওয়ার অভ্যাস তা অবশ্যই বাদ দিতে হবে। কোমল পানীয় শরীরের ফ্যাট বাড়ায়।
শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে হলে অবশ্যই খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সবসময় পেটের কিছু অংশ খালি রাখতে হবে। কখনোই পেট পুড়ে খাওয়া যাবে না।
অনেকেই অফিস কিংবা বাসায় ওঠার জন্য সব সময় লিফট ব্যবহার করে। কিন্তু ওজন কমাতে চাই অবশ্যই সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে উঠতে হবে।
ওজন কমাতে হলে অবশ্যই কম ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। তাই রেস্টুরেন্টে না যাওয়াই ভালো।
খাদ্যাভাসে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে অনেক বেশি তরতাজা ফলমূল ও শাকসবজি রাখতে হবে। ফলমূল ও শাকসবজিতে যেসব খাদ্য উপাদান আছে তা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে অবশ্যই অলসতা দূর করতে হবে। বাইরে বেরোতে হবে। বেশি বেশি বিছানায় শুয়ে না থেকে কাজ করতে হবে অনেক বেশি। এতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ অনেক বেশি সচল থাকবে। মেদ সৃষ্টিতে বাধা দান করবে।
হাঁটার বিকল্প নেই। ওজন কমাতে হলে অবশ্যই অনেক বেশি হাঁটতে হবে। কাছাকাছি অফিস হলে হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তাছাড়া ঘন ঘন পার্কে যেতে হবে।