বিশ্বকাপে নেইমার ভালো খেলবে এ আশা আমার ছিল। কিন্তু এতটা ভালো খেলবে তা আমি ভাবতেও পারিনি। কথাগুলো বলছিলেন, ব্রাজিলের নন্দিত ফুটবলার রোনালদিনহো। ক্যামেরুনকে ৪-১ গোলে হারানোর পর তিনি বলেন, আগের দুই ম্যাচে ব্রাজিল অপেক্ষাকৃত ভালো খেললেও অনেকের পারফরম্যান্স হতাশ করেছিল। মেক্সিকোর সঙ্গে ড্র করাতে তাদের গোলরক্ষক ওচোয়া প্রশংসিত হচ্ছেন। আমি বলবো সেদিন ও সত্যিই অসাধারণ খেলেছেন। এক ওচোয়ায় ব্রাজিলের নিশ্চিত জয় থামিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ওচোয়া যতই ভালো খেলুক না ব্রাজিল গোল পাবে না কেন? বলতে খারাপ লাগে তারপরও বলছি মেক্সিকোর বিরুদ্ধে আক্রমণভাবে কাউকে তৎপর মনে হয়নি। ক্রোয়েশিয়া ও মেক্সিকো দুই ম্যাচে মনে হয়েছে ব্রাজিল শুধু নেইমারের ওপর নির্ভরশীল। আসলে এটা ব্রাজিলিয়ানদের কাছে কোনোভাবে কাম্য ছিল না। কেননা বিশ্বকাপ জেতা চাট্টিখানি কথা নয়। এই ট্রফি পেতে হলে সবাইকে ভালো খেলতে হবে।
সত্যি বলতে কি, এ নিয়ে আমি কিছুটা হতাশায় ছিলাম। বিশেষ করে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচটি আমি গুরুত্বসহকারে নিয়েছিলাম। কারণ আফ্রিকানরা কখন যে কি করে ফেলে বলা মুশকিল। যাক স্বস্তি এসেছে ৪-১ গোলে জেতাতে। খুশি লাগছে এদিন শুধু নেইমার নয়, পুরো আক্রমণভাগই ছিল সজাগ। নেইমারকে তুলে না নিলে হয়তো তার হ্যাটট্রিকও হয়ে যেত। স্কলারি ভালোই করেছেন। কেননা সামনে নকআউট পর্ব ঝুঁকি নেওয়া দরকার ছিল না। হ্যাঁ, সামনের ম্যাচ নিয়ে আমার কিছু কথা রয়েছে। নেদারল্যান্ডসকে এড়াতে পেরে অনেকেই খুশি। বলছে চিলিকে হারানোটা কষ্টের কিছু হবে না। আমি কিন্তু চিলিকে যোগ্য প্রতিপক্ষই ভাবছি। গ্রুপ পর্বে ওদের খেলা ছিল গতিময়। তাছাড়া সানচেজের তো ভয়ঙ্কর খেলোয়াড় রয়েছে। একটা কথা বলব ক্যামেরুনকে সহজভাবে হারালেও ব্রাজিলের রক্ষণভাগের দুর্বলতা ঠিকই ফুটে উঠেছিল। সুতরাং চিলির বিপক্ষে এদিকে নজর রাখতে হবে।