তথ্যটা চমকে দেওয়ার মতোই। তিনবারের বিশ্বজয়ী জার্মানি আলজেরিয়ানদের বিপক্ষে কখনোই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি। এমনকি ড্রও নয়! বিশ্বকাপে অতীত পরিসংখ্যান একটা বড় বিষয়। আত্মবিশ্বাস বাড়ানো-কমানোর পরিমাপকও। ব্রাজিল যেমন বিশ্বকাপে ফ্রান্সের সামনে পড়লে কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়ে। আর্জেন্টিনা জার্মানদের সামনে পড়লে। এভাবেই চলে আসছে বিশ্বকাপের ইতিহাস। এমনই একটা অতীত সঙ্গে নিয়ে বিশতম বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট জার্মানি আজ পোর্তো আলেগ্রের বেইরা রিও স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে আলজেরিয়ার। আরও একটা ইতিহাসের মুখোমুখি জার্মানরা। আজ মাঠে নেমে গোল করে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনাল্ডোকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন মিরোস্লাভ ক্লোসা। বিশ্বকাপের মঞ্চে দুজনেই ১৫টি করে গোল নিয়ে সমান্তরালে অবস্থান করছেন।
১৯৮২ বিশ্বকাপে একটা অদ্ভূত ঘটনা ঘটল। অখ্যাত আফ্রিকান দল আলজেরিয়ার ওটা ছিল প্রথম বিশ্বকাপ। ততোদিনে জার্মানি দুইবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নের (১৯৫৪ ও ১৯৭৪) খেতাব জিতেছে। ১৬ জুন স্প্যানিশ শহর গিজনের এল মলিননে প্রবল প্রতাপ জার্মানদের মুখোমুখি আলজেরিয়া। বিশ্ব দেখল আফ্রিকানরাও ফুটবল জানে। লাখদার বেলোমি আর রাবাহ মাজেররা দেখাল চ্যাম্পিয়নদের হারানো ছেলেখেলাই। ২-১ গোলে আলজেরিয়ার কাছে হেরে গেল জার্মানরা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা দুর্ঘটনার একটা লেখা হয়েছিল জার্মানদের নামের পাশে। পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গেল, কেবল বিশ্বকাপ নয় এর বাইরেও আলজেরিয়ানরা জার্মানির জন্য ভয়ের নাম। ১৯৬৪ সালে আলজিয়ার্সে জার্মানদের ২-০ গোলে হারিয়েছিল আলজেরিয়া।
পরিসংখ্যান যাই বলুক, বর্তমানকে তো আর অস্বীকার করার উপায় নেই! আলজেরিয়া ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ২২ নম্বরে। একটা দুই পাশ থেকে সরিয়ে দিলে জার্মানির র্যাঙ্কিং নম্বর হয়। কেবল তো র্যাঙ্কিংই নয়, ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেরা চার ফেবারিটের একটাও তো জার্মানিই। ফাইনালের সম্ভাব্য দল। কিন্তু অতীতকে যারা খুব মূল্যায়ন করে তাদের মধ্যে জার্মানদের নামটা উপরের দিকেই। এ কারণেই হয়ত আলজেরিয়ানদের নিয়ে ভয়ে আছেন জার্মান কোচ জোয়াকিম লো। জার্মানদের এসব ভয়-ডর দূর করে দিতে পারেন রেকর্ডের খোঁজে থাকা মিরোস্লাভ ক্লোসা।
আজ মাঠে নামলে তিনি ছাড়িয়ে যেতে পারেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনাল্ডোকে! বিশ্বকাপে ১৫ গোল করে নিয়ে দুজনেই আছেন সমান্তরালে। তাছাড়া গোলমেশিন মুলারও তো আছেন।