বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কাছে গ্রেনাডা একাধারে সুখের এবং দুঃখের নাম। ১০ বছর আগে ২০০৪ সালে টাইগাররা প্রথম গিয়েছিল ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জে, তখন একটি ওয়ানডে খেলেছিল গ্রেনাডার সেন্ট জর্জেস ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। কার্টেল ওভারের ম্যাচটি হেরেছিল টাইগাররা। হারে অভিষিক্ত গ্রেনাডা তাই ওয়ানডেতে টাইগারদের দুঃখের নাম। পাঁচ বছর পর ২০০৯ সালে বাংলাদেশ স্বাগতিকদের হারিয়েছিল টেস্টে। তাই সুখকরও বটে। সেই গ্রেনাডায় কাল প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাগতিক বোলারদের বাউন্সের বিপক্ষে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খুব সুবিধা করতে পারছিল না টাইগার ব্যাটসম্যানরা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ব্যাট করছেন ৫১ রানে।
টানা ৯ ম্যাচে হারের বিধ্বস্ত মানসিকতা নিয়ে মুশফিকবাহিনী খেলতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক হিসেবে এটা প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট মুশফিকের এবং কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহেরও। শেন জার্গেনসনের সরে দাঁড়ানোর পর গত জুনে টাইগারদের দায়িত্ব নেন হাতুরাসিংহে। ক্রিকেটারদের লড়াইয়ের মানসিকতা আনতে দেড় মাস বাউন্সি উইকেটে অনুশীলন করান ক্রিকেটারদের। কিন্তু কাল গ্রেনাডার সেন্ট জর্জেসের বাউন্সি উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে টাইগারদের।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয় ৪১ রান যোগ করেন ১২.১ ওভারে। প্রস্তুতি ম্যাচে ৯১ রানের ইনিংস খেলে মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত তামিম খুবই ভালো ব্যাটিং করছিলেন। ৪৭ বলের খরচে ৩ বাউন্ডারিতে ২৬ রান করে হোল্ডারে বাউন্সারে হুক খেলতে যেয়ে শর্ট মিড উইকেটে পোলার্ডের তালুবন্দি হন। তামিমের বিদায়ের পর ইমরুল জুটি বাঁধেন এনামুলের সঙ্গে। ক্যারিয়ারের ৫০ নম্বর ওয়ানডে খেলতে নামা ইমরুল ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হন। তিন রান নিতে যেয়ে মাঝ ক্রিজে ধাক্কা খান এনামুলের সঙ্গে। পরবর্তীতে দৌড়ে সেটা কাভার করতে পারেননি। রান আউট হয়ে যান। এরপর এনামুল জুটি বাঁধেন শামসুর রহমান শুভর সঙ্গে। কিন্তু এই জুটি ১১ রান করার পরই বিচ্ছিন্ন হন। ৮০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর এনামুলকে সঙ্গ দিতে থাকেন অধিনায়ক মুশফিক। কিন্তু ২৮ ওভারের শেষ বলে গেইলকে অহেতুক খেলতে যেয়ে ব্যক্তিগত ১২ রানে সাজঘরে ফিরেন মুশফিক। ফলে ২৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১১৭। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথম ব্যাট করে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ৯ উইকেটে ২৪৬।
পরে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৭৬। দুটি স্কোরই ২০০৯ সালে রোসেউতে। তবে সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর ৬ উইকেটে ২৯২।