ক্রীড়াঙ্গনে আপনার আগমন ঘটল কবে?
শিরিন : বেশি দিনের কথা নয়। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আনসার প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি গ্রহণ করে। দেখেন আমার কিন্তু শুরুতে খেলায় আসার আগ্রহটা তেমন ছিল না। কিন্তু এই কর্মসূচিতে এসে আনসারের কোচ রেহেনা পারভীন আপার চোখে পড়ে যাই। তিনি বললেন, তোমার প্রতিভা আছে, লেগে থাক দেখবে ভালো করবে। ব্যস, উনার অনুপ্রেরণা পেয়েই খেলাধুলায় এসে পড়লাম।
প্রথম প্রতিযোগিতা কীভাবে শুরু?
শিরিন : আমার ক্যারিয়ার মূলত ২০০৯ সালে কুস্তি দিয়েই শুরু। তার আগে আনসার সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর সামনে এক প্রদর্শনী কুস্তিতে অংশ নিই। ২০১০, ’১১, ’১২ জাতীয় প্রতিযোগিতায় টানা তিন আসরে স্বর্ণ জিতে মহিলা বিভাগে সেরা কুস্তিগীর হওয়ার গৌরব অর্জন করি। চলতি বছরেও আমি জাতীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ২০১২ সালে কলকাতায় দ্বিতীয় ইন্দো-বাংলা গেমসে আমি কুস্তিতে স্বর্ণ লাভ করি।
কুস্তির পাশাপাশি উশুকে বেছে নিলেন কীভাবে?
শিরিন : এটা ঠিক, কুস্তি থেকেই ক্রীড়াঙ্গনে আমার পরিচয় এসেছে। কিন্তু আমি দেখলাম উশু এমন এক খেলা যে কোনো বিপদে আত্মরক্ষা করা যায়। তা ছাড়া যখন এ খেলা শুরু করলাম সবাই বললেন, ভালোই করবে। জাতীয় প্রতিযোগিতায় প্রথমে এসেই ২০১১ সালে অল্পের জন্য স্বর্ণ জিততে পারিনি। রৌপ্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এতে আমার জেদ বেড়ে যায়, স্বর্ণ জিততে কঠিন অনুশীলন শুরু করি।
কষ্ট করলে সুফল আসবেই- তার প্রমাণ পেলাম ২০১৪ সালে। উশুতে প্রথম স্বর্ণ জেতার কৃতিত্ব পেলাম। সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে ২০১২ সালে শেরেবাংলা পদক লাভ করি। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার গ্রহণ করি।
কখনো কি ক্রিকেট বা ফুটবল খেলার ইচ্ছা জাগেনি?
শিরিন : অবশ্যই দুটো জনপ্রিয় খেলা। পুরুষদের পাশাপাশি মেয়েরাও ক্রিকেটে বেশ এগিয়েছে। এশিয়ান গেমসে রুপাও জিতেছে। আমি যদি খেলতাম নিশ্চয় ভালো করতাম- এ আÍবিশ্বাস ছিল। কিন্তু সবাই যদি ক্রিকেট বা ফুটবল খেলে অন্য খেলা খেলবে কারা? কাবাডিতেও আমার অফার ছিল। কিন্তু উশু ও কুস্তিকেই প্রাধান্য দিয়েছি।
উশু ইভেন্টের জন্য এশিয়ান গেমসে যাচ্ছেন। প্রস্তুতি কেমন চলছে?
শিরিন : এটা আমার খেলোয়াড়ি জীবনে বড় প্রাপ্তি বলতে পারেন। এশিয়ান গেমসে দেশের প্রথম হয়ে খেলব। আগেই বলে রাখি এখানে এশিয়ার সেরা সেরা খেলোয়াড়রা অংশ নেবেন। তাই পদক জেতার সম্ভাবনা নেই বলতে পারেন। তবে এতটুকু বলতে পারি, ক্যারিয়ারে সেরা খেলাটাই উপহার দিতে চাইব দেশকে। মে মাস থেকে মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে কোচ মেজবাউদ্দিনের অধীনে প্রশিক্ষণ চলছে। প্রস্তুতিতে আমি সন্তুষ্ট কিন্তু প্রথমবারের মতো এত বড় গেমসে পদক জেতাটা সত্যিই কঠিন বা অসম্ভব। গেমসে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে তা কাজে লাগাতে পারব।
দেশে উশুর মান বাড়ানোর জন্য কী প্রয়োজন?
শিরিন : যে কোনো খেলার মান বাড়াতে প্রয়োজন উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি। বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন এক্ষেত্রে আন্তরিকতার ঘাটতি রাখছে না।
কিন্তু আরও উন্নতমানের ট্রেনিংয়ের জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন। সত্যি বলতে কি, উশুকে জনপ্রিয় করে তুলতে মিডিয়ারও সহযোগিতা দরকার। উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমি নিশ্চিত, উশু দেশের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় ধরনের সুনাম বয়ে আনবে।
শিরোনাম
- নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা
- সিআরআইয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ : জয়-পুতুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
- র্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে তানজিদ
- বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য ভোট চাইলেন ভিপি সাইফুল
- খালেদা জিয়া আমাদের মনোবল-সাহস: এ্যানি
- স্ত্রীসহ অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সেলিম মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- সরাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
- বগুড়ায় অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু
- ইতিহাসে দীর্ঘতম হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের শাটডাউন
- ভাল্লুকের আক্রমণ ঠেকাতে সেনা মোতায়েন করল জাপান
- ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে : ডা. জাহিদ
- ‘আরবান ট্রি মিউজিয়াম’, ‘বৃক্ষ সেবা ও ছাদবাগান সহায়তা কেন্দ্র’ গড়ে তুলছে ডিএনসিসি
- রংপুরে বেড়েছে খড়ের কদর, লাভবান কৃষক
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭৪৮
- জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ২২ ডিসেম্বর
- পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়
- উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
- ওয়ারীতে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে ফের পুরস্কার ঘোষণা
সাক্ষাৎকার
সেরা খেলাটাই খেলতে চাই
অল্প সময়ে ক্রীড়াঙ্গনে নিজেকে পরিচিত করে তুলেছেন শিরিন সুলতানা। সেপ্টেম্বরে কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে উশু ইভেন্টে মহিলা বিভাগে অংশ নেবেন। শুধু উশু বললে ভুল হবে, বেশ কয়টি খেলায় তিনি পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন। বিশেষ করে কুস্তিতে তার সাফল্য চোখে পড়ার মতো। খেলাধুলার পাশাপাশি তিনি বনানী বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্ম বিভাগে পড়াশোনা করছেন। কীভাবে খেলাধুলায় এলেন এবং পরিচিত হয়ে উঠলেন এবং এশিয়ান গেমসে তার লক্ষ্য কি তা নিয়ে শিরিনের এ সাক্ষাৎকার-
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর