এশিয়ান গেমসে ফুটবলে বাংলাদেশ পদক পাবে কি? খেলা যারা বোঝেন বা জানেন এ প্রশ্ন শুনলে নিশ্চয়ই হাসবেন। কেননা, যে গেমসে এশিয়ার তো বটেই বিশ্ব ফুটবলে অন্যতম শক্তিশালী দেশগুলো খেলবে, সেখানে পদক জেতার সম্ভাবনা থাকে কীভাবে? ১৯৭৮ সাল থেকেই গেমসে ফুটবলে অংশ নিছে বাংলাদেশ। প্রতিবারই গ্রুপ পর্ব খেলে বিদায়। সেরা পারফরম্যান্স বলতে ’৮২ সালকেই বলা হয়। সেবার গ্রুপ ম্যাচে শক্তিশালী মালয়েশিয়াকে পরাজিত করেছিল। এরপর শুধু যাওয়া আর আসা। মাঝে ব্যর্থতার কারণে এশিয়ান গেমসে ফুটবলকে পাঠানো হয়নি। একসময় ফুটবলাররা দৃঢ়ভাবেই বলতেন, লক্ষ্য একটাই- পদক জেতা। অবশ্য ওই সময়ে ফুটবলের মান একেবারে খারাপও ছিল না। গেমস না হোক, এশিয়ান ক্লাব ফুটবলে রীতিমতো ঝড় তুলত ঢাকা মোহামেডান। ’৮৮ সালে ঢাকায় প্রাথমিক পর্বে ইরানের জাতীয় দলের সাতজন খেলোয়াড় নিয়ে গড়া চ্যাম্পিয়ন পিরুজি ক্লাবের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল। চূড়ান্ত পর্বে কাতার চ্যাম্পিয়ন আলসাদ ও উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল-টুয়েন্টি ফাইভের বিপক্ষে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছিল।
সেসব এখন স্মৃতিই বলা যায়। বর্তমান প্রজন্মের ক্রীড়ামোদীরা ফুটবলকে এতটা বাঁকা চোখে দেখেন যে বিশ্বাসই করতে চান না। একসময় মোহামেডান-আবাহনী খেলা হলেই পুরো দেশ উত্তেজনায় কাঁপত। এখন সেসব অনেকে গল্পই মনে করেন। আসলেও এখন ফুটবলে না আছে মান, না জনপ্রিয়তা। সুতরাং এ অবস্থায় এশিয়ান গেমসে পদক জেতা স্বপ্নেও কল্পনা করা যায় না। প্রশিক্ষণে থাকা জাতীয় দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমরা পদক জেতার মিথ্যা আশ্বাস দেব না। তবে গ্রুপ নির্ধারণ হলে বলতে পারব কতটুকু পারফরম্যান্স শো করব।’ হ্যাঁ, এবারে গেমসে ফুটবলে চূড়ান্ত গ্রুপিং নির্ধারণ হয়েছে। বি গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী হিসেবে আছে উজবেকিস্তান, আফগানিস্তান ও হংকং। শক্তির কথা যদি বলি তাহলে উজবেকই হচ্ছে এই গ্রুপে টপ ফেবারিট। তাহলে কি বাংলাদেশ দুই ম্যাচ জিতে পরবর্তী রাউন্ডে যাচ্ছে? একসময় কিন্তু হংকংয়ের সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো। আর আফগানিস্তান, বেশি দিনের কথা নয়- ২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এস এ গেমস ফাইনালে ৪-০ গোলে তাদের হারিয়ে বাংলাদেশ হারানো স্বর্ণ উদ্ধার করেছিল। মুশকিল হচ্ছে স্বল্পসময়ের মধ্যে আফগানরা এখন সাফ চ্যাম্পিয়ন আর বাংলাদেশকে গ্রুপে ভরাডুবি ঘটিয়ে বিদায় নিতে হয়। আর হংকংও ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। তাহলে কি গ্রুপ পর্ব থেকেই বাংলাদেশকে বিদায় নিতে হচ্ছে? পারফরম্যান্সের বিচারে তো তা-ই বলে। তবে এশিয়াডগামী দলের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু তা মানতে নারাজ। তার কথা, গ্রুপে অবশ্যই উজবেকরা ফেবারিট। হয়তো বা তাদের হারানো সম্ভব নয়। কিন্তু আফগানিস্তান ও হংকংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। সাফ চ্যাম্পিয়ন হলেও আফগানিস্তানকে হারানোর সামর্থ্য রয়েছে। হংকংকেও প্রতিরোধ করার সম্ভবনা রয়েছে। সুতরাং আমাদের গ্রুপকে আমি কোনোভাবেই কঠিন বলব না। দুই ডাচ্ কোচের তত্ত্বাবধানে ছেলেরা যে প্রস্তুতি নিচ্ছে তাতে আশার আলো দেখছি। সামনে নেপালের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়া থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া- যে কোনো দলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং খালি হাতেই ফিরব এমনটি ভাবা ঠিক হবে না। বাবু যে প্রত্যাশার কথা শোনালেন তা যদি বাস্তবায়িত হয় খারাপ কী। পদক না জিতুক অন্তত একটা ম্যাচ জিতে তো আসতে পারবে। ফুটবলে যে করুণ দশা এটাও তো সাফল্য বলে ধরে নেওয়া যায়।
শিরোনাম
- বরিশালে ইন্টার্ন চিকিৎসকের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম, শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন
- প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা
- যশোরে ভাবিকে ধর্ষণের চেষ্টা, দেবর গ্রেফতার
- মিয়ানমারে ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম নির্বাচনের ঘোষণা জান্তার
- হরিণের সঙ্গে ধাক্কা, প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী সেনিয়া অ্যালেক্সান্ড্রোভার মর্মান্তিক মৃত্যু
- যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে যেসব বিষয়ে ছাড় দিতে হবে, জানালেন ট্রাম্প
- দোতরা হারালেও থেমে নেই আমজাদ বয়াতির গান
- ‘সুপারম্যান’-এর খলনায়ক টেরেন্স স্ট্যাম্প আর নেই
- কারাগারে কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল
- রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রে মনোহর সেঞ্চুরি প্ল্যান্ট, দর্শনার্থীদের আকর্ষণ
- বরিশাল মেডিকেলে মারধর: হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
- সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে শুনানি শুরু ২৪ আগস্ট
- ঝালকাঠিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন
- পিএসসির সামনে নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্তদের অবস্থান কর্মসূচি
- চাঁদপুরে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা
- ঘুমধুম সীমান্তে আরাকান আর্মি সন্দেহে আটক ২, স্বীকারোক্তি একজনের
- পঞ্চগড়ে মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন, সচেতনতার আহ্বান
- গোপালগঞ্জে মৎস্য সপ্তাহে মাছের পোনা অবমুক্ত
- মোংলায় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন
- কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের পরদিন ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার
তবু লড়াইয়ের প্রত্যাশা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর