এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন বিভিন্ন ফেডারেশনকে আর্থিক সহযোগিতা করেছে। কিন্তু ফুটবল ফেডারেশনের দিকে নজরই নেই। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানান, দুই মাস আগে আমরা প্রস্তুতির জন্য বিওএর কাছে ৩০ লাখ টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো অর্থই মেলেনি। তাই বলে তো ফুটবল থেমে থাকেনি। এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি পুরো দমে চলছে। দুই ডাচ কোচ লোডডিক ক্রুইফ, বেনে কোস্টার ও তাদের সহযোগী হিসেবে সাইফুল বারী টিটু কাজ করে যাচ্ছেন। লোকাল ছাড়াও এশিয়াডগামী দল নেপালের বিপক্ষে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। ২৬ আগস্ট ঢাকা ও ২৯ আগস্ট সিলেটে ম্যাচ দুটো অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া গেমসে যাওয়ার আগে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের কোনো দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলানোর চেষ্টা চলছে। অর্থাৎ কারও অনুদান না পেলেও বাফুফে ফুটবলারদের প্রতি সুনজর রেখেছে। সোহাগ বলেন, গেমসে এশিয়ার শক্তিশালী দলগুলো অংশ নিয়ে থাকে। তাই পদক জেতার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য ভালো পারফরম্যান্স শো করা। সামনে এস এ গেমস, অলিম্পিক প্রাক-বাছাইপর্ব রয়েছে। তাছাড়া সাফচ্যাম্পিয়নশিপও দূরে নয়। সুতরাং এখনকার প্রস্তুতি এসব টুর্নামেন্টে কাজে লাগবে। অন্যদিকে এশিয়াডগামী অনূধর্্ব ২৩ দলের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবুও বলেন, যতটুকু পারা যায় সেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, গেমসে হয়তো আমরা পদক পাব না। কারণ এশিয়ান গেমসে এশিয়ার শক্তিশালী দেশগুলো অংশ নেয়। তিনি বলেন, আমাদের হারানোর কিছু নেই।
কিন্তু পাওয়ার আছে অনেক। এমনিতেই শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আমাদের খেলার সুযোগ তেমন থাকে না। এখন এশিয়ান গেমসে বড় দলের বিপক্ষে লড়তে পারলে খেলোয়াড়রা অনেক কিছু শিখতে পারবে। যা পরবর্তীতে কাজে লাগাতে পারবে। বাবু বলেন, বাংলাদেশ যদি নিয়মিতভাবে বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলতে পারত তাহলে মানের উন্নয়ন ঘটত। আশারাখি এশিয়ান গেমস থেকে ফুটবলে ভালোমানের খেলোয়াড়েরও সন্ধান মিলবে।