এশিয়ান গেমস থেকে ৯টি ইভেন্ট বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন তাই দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এ গেমসে বাংলাদেশ ১২টি ইভেন্টে অংশ নেবে। ভালো করার সম্ভাবনা নেই বলে এসব ইভেন্ট বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন প্রশংসিত হলেও সাঁতার ও অ্যাথলেটিঙ্ বাদ দেওয়াটা অনেকে মেনে নিতে পারছে না। দুই ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এতে দারুণ ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে অ্যাথলেটিঙ্রে সাধারণ সম্পাদক প্রতিবাদ হিসেবে গেমসে যাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখছেন। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন তাকে সরকারি ডেলিগেট করেছিল। তার কথা আমার প্রতিযোগিরাই যেখানে যেতে পারছে না সেখানে আমি যাব কোন যুক্তিতে। ইভেন্ট বাদ পড়ার মূল কারণ খারাপ পারফরম্যান্স হলেও বিওএ নাকি কোনো কোনো ফেডারেশনের কোন্দলও কাজে লাগিয়েছে। অ্যাথলেটিঙ্ ফেডারেশনের ভিতর কি ঘটেছিল তা স্পষ্ট জানা না গেলেও সাঁতারে নাকি কমিটির ভিতরেই চরম দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক রফিউদ্দিন মুখ না খুললেও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, কমিটির ভিতরে মহিলাদের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। কমনওয়েলথ গেমস চলাকালেই অলিম্পিক ভবনে গিয়ে গ্রামগোতে যাওয়া কোচের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হয়। সাতারুরা যোগ্য হলেও অযোগ্য কোচের কারণে ভরাডুবি ঘটেছে তা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের কাছে জানানো হয়। শুধু তাই নয়, কমিটির শীর্ষে পদে থাকা এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ লিখিতভাবে করা হয়েছে। বিওএ প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত ছিল গেমসের মূল আকর্ষণ সাঁতার ও অ্যাথলেটিঙ্কে দলে রাখা। কিন্তু ফেডারেশনের দ্বন্দ্ব দেখে সাঁতারুকেও বাতিলের তালিকায় রাখা হয়। জানা গেছে ফুটবলকে পাঠানো হবে কিনা এ নিয়েও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল বিওএ। কিন্তু একজন ঊধর্্বতন কর্মকর্তা জানান, ফিকশ্চার যখন হয়ে গেছে তখন ফুটবলকে গেমসে না পাঠালে সংস্থা সমালোচিত হবে।