তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে সফরকারী পাকিস্তানকে সাত উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ২-১ এ সিরিজ জিতে নিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের করা ১০২ রানের জবাবে তিন উইকেট হারিয়ে হেসেখেলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। আজ অনুষ্ঠিত শেষ ম্যাচে পেরেরা ও প্রাসাদের বোলিং তোপে পড়ে ১০২ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারী পাকিস্তান। এই রান তাড়া করতে নেমে ১৭৮ বল থাকতেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
ডাম্বুলায় টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় সফরকারী পাকিস্তান। মাত্র ৫৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে নিয়ন্ত্রণ হারায় সফরকারীরা। এরপর শোয়েব মাকসুদ ও আফ্রিদি দ্রুত ফিরে গেলে পাকদের কোমর ভেঙ্গে যায়। সেখান থেকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা।
‘অলিখিত ফাইনাল’ ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকরা। দলীয় ১৪ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় পাকিস্তান। সেখান থেকে ধামিকা প্রাসাদ, মালিঙ্গা ও পেরেরা আর মাথা তুলে দাঁড়াতে দেননি পাকিস্তানকে।
এক পর্যায়ে ৭৭ রানে আট উইকেট হারিয়ে একশ’ রানের নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জার মুখে পড়ে পাকরা। তবে শেষ দুই জুটির কল্যাণে ১০২ রান করতে সমর্থ হয় মিসবাহর দল। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মধ্যে একাই লড়াই চালিয়ে যান ফাওয়াদ আলম। শেষ পর্যন্ত তিনি ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে পেরেরা চারটি ও প্রাসাদ নেন দুটি উইকেট। মালিঙ্গা, হেরাথ ও প্রসন্ন নেন একটি করে উইকেট।
জয়ের জন্য ১০৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে লঙ্কানদের উড়ন্ত সূচণা দেন দুই ওপেনার দিলশান ও থারাঙ্গা। এই দুজন ৪২ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৪৬ রানে ব্যক্তিগত ১৪ রান করে থারাঙ্গা ফিরে গেলেও জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন দিলশান।
শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক দিলশান ৫৫ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ৯টি চারের মার ছিল। সাঙ্গাকারা ২ ও জয়াবর্ধনে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পাকিস্তানের পক্ষে সাঈদ আজমল, মোহাম্মদ ইরফান ও ওয়াহাব রিয়াজ একটি করে উইকেট লাভ করেন। প্রথম ওয়ানডেতে হেরে গেলেও টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে লঙ্কানরা।