হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরও ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে তৃপ্তির জায়গা আছে দুটি-বোলিং ও ফিল্ডিং। ক্রিকেটের তিন বিভাগের মধ্যে এই দুই বিভাগে বেশ উন্নতি চোখে পড়েছে। কিন্তু ব্যাটিং হয়েছে যাচ্ছেতাই। এক ম্যাচে তো একশর নিচেও অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে মুশফিকদের ব্যাটিং দেখে অনেকে পাড়ার ক্রিকেটারদের ব্যাটিংয়ের সঙ্গেও তুলনা করেছেন! প্রাপ্তি বলতে ছিল, এনামুল হক বিজয়ের একমাত্র সেঞ্চুরি। তারপরেও টেস্টে মাঠে নামার ব্যাটিং নিয়েও স্বস্তিবোধ করছেন মুশফিকুর রহিম। কারণ, প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে দুই দুটি সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় ইনিংসে বড় পার্টনারশিপ -টাইগার দলপতিকে আশান্বিত করছে। তাই টেস্ট সিরিজে যদি বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিং ক্লিক করে তবে এবারও ক্যারিবীয়দের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে টাইগার। মাঠে দিতে হবে ধৈর্যের পরীক্ষা। তাড়াহুড়ো করে খেললেই বিপদ।
২০০৯ সালের স্মৃতি রোমন্থনের সাহস হয়তো হবে না ক্রিকেটারদের! বাংলাওয়াশ করা তো দূরের কথা নিজেরাই এবার হোয়াইটওয়াশের আশঙ্কায়! তাই তো জয়ের কথা বাদ দিয়ে ড্র’র কথা ভাবতে শুরু করেছেন মুশফিকুর রহিম। আর প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও প্রতিপক্ষ সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস তো মোটেও শক্তিশালী ছিল না। দলে এক চন্দরপল ছাড়া কেই বা ছিল। আর সেই চন্দরপলও সেঞ্চুরি আদায় করে মুশফিকদের একটা সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। তবে অত কিছু ভাবতে রাজি নন মুশফিক। প্রতিপক্ষ কে ছিল কিংবা কতটা শক্তিশালী ছিল, তারচেয়েও বড় কথা নিজেদের ব্যাটিং প্রাকটিসটা ভালোই হয়েছে। বোলারদের সামর্থ্য দেখে খুশিই হয়েছেন মুশফিক। কেননা উইকেট থেকে ন্যূনতম সহায়তা না পাওয়ার পরও প্রতিপক্ষ অলআউট করে ছিলেন বোলাররা। তাইজুল-রুবেলরা সঠিক লাইন-লেন্থেই বোলিং করেছেন।
প্রথম ইনিংসে মুশফিক নিজে সেঞ্চুরি করেছেন। তারপরেও আশার কথা হচ্ছে অনেক দিন থেকে ধুকতে থাকা নাসির হোসেনও সেঞ্চুরি পেয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম-শামসুরের ওপেনিং জুটি অনেক ভালো করেছে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ড্র হলেও, প্রাপ্তি অনেক। আর এই ম্যাচটাই বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসকে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে মনে করেন মুশফিক। তবে টেস্টের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দলে না পাওয়াটা বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা। ওয়ানডেতেও এই দেশসেরা তারকার অভাবটা পরতে পরতে অনুভব করেছেন মুশফিকরা। সাকিবের জায়গা পূরণ করতে পারেননি কেউ-ই। টেস্ট সিরিজেও এই সমস্যা হতে পারে। এমন চিন্তা মাথায় রেখেই হয়তো পরিকল্পনা ঠিক করবেন মুশফিক। তবে টাইগারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হতে পারে, অনেক দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট না খেলা। বাংলাদেশ সব শেষ টেস্ট খেলেছে ফেব্রুয়ারিতে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। এরপর সাত মাস বিরতি দিয়ে কাল মাঠে নামছে টাইগাররা। কিংসটাউনে শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। বাংলাদেশের টার্গেটই থাকবে কোনো রকমে ৫ দিন পার করে দেওয়া। কিন্তু মুশফিক কী পারবেন টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রুখে দিতে? টেস্টে বাংলাদেশ কতটা সফল হবে তা নির্ভর করবে পরিকল্পনার ওপর। টেস্ট সিরিজটা নতুন কোচ হাতুরাসিংহ হয়তো চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন। কেননা লঙ্কান কোচের অধীনে প্রথম ওয়ানডে সিরিজেই হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা পেয়েছে বাংলাদেশ। টেস্টেও যাতে ফল একই না হয় সেজন্য সতর্ক হাতুরাসিংহে! সতর্ক ক্রিকেটাররাও।
শিরোনাম
- আজ ঢাকার বাতাসের মান ‘সহনীয়’
- অভিবাসীদের পক্ষে ফের আওয়াজ তুললেন শাকিরা
- দুই মৌসুম পর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সাকিব
- ‘ইরানে কোনো যুদ্ধ নয়’, হোয়াইট হাউসের সামনে মার্কিনিদের বিক্ষোভ
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুন)
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে : ডা. জাহিদ
- ইরানে হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন ট্রাম্পের
- ইরানে ইসরায়েলের হামলায় নিন্দা উত্তর কোরিয়ার
- জবিতে নৈতিকতা, রাজনীতি ও দায়বদ্ধতা বিষয়ক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত
- ইসরায়েলের হামলায় ভাঙেনি ইরান, উল্টো বাড়ছে জাতীয় ঐক্য
- হঠাৎ তেহরান থেকে ওমানে তিন বিমান
- ইরান থেকে ৭০ বাংলাদেশিকে ফেরানোর প্রস্তুতি
- ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করবে বিএনপি : আমিনুল হক
- যুদ্ধই নেতানিয়াহুর টিকে থাকার শেষ আশ্রয়!
- ইরাক থেকে শিক্ষা নেয়নি ইসরায়েল
- ইরানে ইসরায়েলের হামলা: পারমাণবিক দূষণের শঙ্কা বিশ্বজুড়ে
- হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ফিরোজায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
- ডেঙ্গু রোগীর খাদ্য ব্যবস্থাপনা
- জটিলতার পাহাড়ে সংসদীয় আসন
- ফের ইসরায়েলের দিকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান
কাল প্রথম টেস্ট শুরু
টাইগারদের ধৈর্যের পরীক্ষা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে সচল, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতের ভিডিও প্রকাশ
২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে আজ পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক
২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম