দুই ম্যাচ হারার পর বিশ্বকাপে জয়ের মুখ দেখেছে পাকিস্তান। জিম্বাবুয়েকে ২০ রানে হারিয়ে দিয়েছে। এ জয়ে পাকশিবিরে কিছুটা স্তস্তি নেমে এসেছে। কিন্তু এরপরও আমি পাকিস্তানের পারফরম্যান্সে খুশি হতে পারছি না। ২৩৬ রানের টার্গেট দিয়ে যে অবস্থা ছিল তাতে ম্যাচ জয় নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। সত্যি বলতে কি এটা কোনো টার্গেট হতে পারে না। ব্যাটসম্যানরা এক্ষেত্রে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। তাহলে কি প্রতিপক্ষদের অলআউট করাতে পাকিস্তানের বোলারদের প্রশংসা করব। না, ধন্যবাদ দিতে পারি তারা দলকে জয়ের মুখ দেখিয়েছে। কিন্তু বোলিং যে আহামরি ভালো হয়েছে তা বলা যাবে না। আমার ক্রিকেট অভিজ্ঞতায় বলে জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানরা যদি ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট করত তাহলে অনায়াসে টার্গেট অতিক্রম করা সম্ভব ছিল। তাড়াহুড়ো ব্যাট করতে গিয়ে তারা নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছে। যাক এতে ভালোই হয়েছে তা না হলে পাকিস্তানকে টানা তিন ম্যাচ হারতে হতো। এতে করে কোয়ার্টার ফাইনালের সম্ভাবনা শেষই হয়ে যেত।
জিম্বাবুয়েকে হারানোর পর অনেকে বলছেন, যাক পাকিস্তানের বিপদ কেটে গেল। না, এতটা নিশ্চিত হওয়ার সময় এখনো আসেনি। গ্রুপে এখনো পাকিস্তানকে খেলতে হবে আরব আমিরাত, আয়ারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা তারপরও ধরে নিলাম আমিরাতকে হারানো সম্ভব। কিন্তু দুই দল আয়ারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কি করবে। আফ্রিকার কথাতো বাদই দিলাম। ভারতের কাছে হারার পরত তারা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। দুটো ম্যাচ অনায়াসে ৪০০ রান পেরিয়ে গেছে। যে অবস্থা দেখছি এই পারফরম্যান্স ধরে রাখলে আমি বলব এবার বিশ্বকাপের ট্রফি আফ্রিকা মহাদেশেই যেতে পারে। এমন ভয়ঙ্করী দলকে পাকিস্তান হারাবে কোন অস্ত্র দিয়ে। অবশ্য পাকিস্তান আবার এতটা দুর্বল দল নয় যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতেই পারবে না। ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠতে পারলে অবশ্যই মিসবাহরা হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এবার বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে সমন্বয় দেখছি না। না, একে আমি কোনোভাবে কোন্দল বলতে রাজি নই।