ফ্লাড লাইটে খেলা। অথচ মাঠে পর্যাপ্ত আলো নেই। এ অবস্থায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে মান্যবর বাংলাদেশ-প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের খেলা। ৭ এপ্রিল থেকে পেশাদার লিগের পর্দা উঠেছে। লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ে লিগ শেষ করতে অধিকাংশ দিনই দুটো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমটি বিকালে, দ্বিতীয়টি ফ্লাড লাইটে। প্রথম ম্যাচ না হয় আলোতে আয়োজন করা যাবে। কিন্তু দ্বিতীয়টি নিয়েই লিগ কমিটি সমস্যার মধ্যে পড়ছে। কারণ ফ্লাড লাইটে খেলা হলেও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের চার টাওয়ারে অধিকাংশ বাল্বই নষ্ট। যেগুলো জ্বলছে সেগুলোতে পর্যাপ্ত আলো ছড়াচ্ছে না। এমন ত্রুটির কারণে মাঠে ফুটবলাররা ঠিকমতো বল দেখতে পারছেন না। বিশেষ করে বল ধরতে গোলরক্ষকদের বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাফুফে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ফ্লাড লাইটের সমস্যা আমাদেরও চোখে পড়েছে। সত্যি বলতে কি আলো পর্যাপ্ত না থাকাতে খেলোয়াড়রা তাদের স্বাভাবিক নৈপুণ্য প্রদর্শন করতে পারছে না। কিন্তু এ ছাড়া উপায়ও নেই। লিগ নির্দিষ্ট সময় শেষ করতে ফ্লাড লাইটে খেলা দিতেই হবে। মাঠের মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এর আগেও লাইট নষ্টের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। আবারও বিষয়টি তুলে ধরবো। আশা করি ক্রীড়া পরিষদ সমস্যার দ্রুত সমাধান দেবে। তা না হলে লিগ আয়োজন করা মুশকিল হয়ে পড়বে।
চার টাওয়ারে কতটা লাইট অচল তার সঠিক হিসাব সালাম মুর্শেদী তুলে ধরতে পারেননি। তবে যে সংখ্যা লাইট বিকল হয়ে আছে তা নাকি জাতীয় পরিষদের কাছেও নেই। গোডাউনে যা ছিল তা বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ উপলক্ষে সিলেট স্টেডিয়ামে লাগানো হয়েছে। জানা গেছে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ চলাকালেই ফ্লাড লাইটের আলো পর্যাপ্ত ছিল। পরে বেশকিছু লাইট অকেজো হয়ে যাওয়ায় লিগে খেলা চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বাফুফে চাইলেও দ্রুত লাইট লাগানো সম্ভব হবে না। কারণ হল্যান্ড থেকে আমদানি করা প্রতিটি লাইটের মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। চার টাওয়ারে কম করে হলেও ২০/২৫টি লাইট নষ্ট হয়ে আছে। একেতো অর্থ ফ্যাক্টর তারপর আবার এত লাইট মওজুত নেই। এ অবস্থায় বাফুফে যদি ফ্লাড লাইটে লিগ চালাতে চায় তাহলে অপর্যাপ্ত আলোয় খেলা চলবে। ক্লাবগুলো তা মেনে নেবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।