আগের দুই ওয়ানডে ম্যাচে দাঁড়াতে পারেনি সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে ৭৯ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে হার মেনেছে সফরকারীরা। তারপরও আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নামবেন আজহার আলিরা। কাজটা কঠিন তারপরও সহজ হয়ে যাবে যদি তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমকে দ্রুত সাজঘরে ফেরত পাঠানো যায়। ম্যাচে বাংলাদেশের সবাই ভালো খেললেও পাকিস্তান মনে করে দুই ম্যাচে শোচনীয় পরাজয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন টাইগারদের দুই ব্যাটসম্যান। তামিম প্রথম ম্যাচে ১৩২, পরে ১১৬ ও মুশফিক করেন ১০৬ ও ৬৫ রান। তাদের অসাধারণ ব্যাটিংই বাংলাদেশকে সহজ জয়ের মুখ দেখায়। দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাত ছাড়া হয়ে গেছে পাকিস্তানের। আজ তারা হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে চাচ্ছেন। শক্তিশালী দল নিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে পাকিস্তান আগেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে এমন লজ্জায় পড়তে চাচ্ছে না তারা। দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় এমনিতেই পাকিস্তানে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানি সমর্থকরা ফেসবুকে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ব্যাট-বলের বদলে হাতে এখন চুড়ি ধরিয়ে দেওয়া উচিত।
এই সমালোচনা আরও বড় আকার ধারণ করবে তৃতীয় ম্যাচে হেরে হোয়াইটওয়াশ হলে। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা তাই জানপ্রাণ দিয়ে আজকের ম্যাচ জিততে চাচ্ছে। কিভাবে জেতা যায়, এ নিয়ে দুদিন ধরে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। কেন তারা আগের দুই ম্যাচে মাঠে দাঁড়াতে পারলেন না সেই কারণও চিহ্নিত করেছেন। এখানে তারা তামিম ও মুশফিকের অনবদ্য ব্যাটিংকেই পরাজয়ের কারণ হিসেবে মনে করছে। দুজনকে দ্রুত আউট করা গেলে হয়তো ম্যাচের চেহারা অন্যরকমও হতে পারত। যাক যা হয়ে গেছে তা ফিরিয়ে আনা যাবে না। পাকিস্তানের চিন্তা তাই আজকের ম্যাচকে ঘিরে। আগে বা পরে বাংলাদেশ যখুনি ব্যাটিংয়ে নামুক না কেন তামিম ও মুশফিককে দ্রুত সাজঘরে পাঠাতে হবে। তা না হলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হবে। কিভাবে তাদের আউট করা যায় সেই কৌশলও ঠিক করে রেখেছে। ক্রিকেটারদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ম্যাচে যেন ক্যাচ মিস না হয়।