মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের খেলা এগিয়ে চলেছে। শেখ জামাল ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টানা চার ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। তবে কে যে এবার চ্যাম্পিয়ন হবে বলা মুশকিল। কারণ সবেমাত্র লিগ শুরু হয়েছে। কিন্তু রেফারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনালে শেখ রাসেল ও শেখ জামালের ম্যাচে রেফারির তৈয়বের পক্ষপাতিত্ব স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। শেখ রাসেল নিশ্চিত পেনাল্টি পেলেও রেফারি তা এড়িয়ে গেছেন। ফুটবলাররা প্রতিবাদ জানালেও লাভ হয়নি। ম্যাচ জিতে ফাইনালে যায় শেখ জামাল। শুধু শেখ রাসেল নয়, অনেক দলের দাবি ছিল লিগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিদেশি রেফারি নামান। না, লিগ কমিটির সভাপতি সালাম মুর্শেদী তা কর্ণপাত করেননি বরং জোর গলায় বলেছেন, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের রেফারিদের মান অনেক ভালো। অযথা বিদেশি রেফারির প্রয়োজন নেই। তিনি অবশ্য বলেছেন, লিগে কেউ ভুল বাঁশি বাজাচ্ছেন কিনা তা কমিটি পর্যবেক্ষণ করবে। যদি ধরা পড়ে সেই রেফারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাম বলেছেন, দেশি রেফারিদের মান ভালো। তাহলে মাঠে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কেন? শেখ রাসেল এবার যে মানের দল গড়েছে লিগে সেই অনুযায়ী খেলতে পারছে না। প্রথম দুই ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও ঢাকা মোহামেডানকে হারালেও তারকাভরা শেখ রাসেলের পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো ছিল না। তৃতীয় ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল মুক্তিযোদ্ধার কাছে ১-২ গোলে হেরে যায়। একথা ঠিক মুক্তিযোদ্ধা সেদিন দুর্দান্ত খেলে পুরো পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। কিন্তু শেখ রাসেলের গতিহীন খেলার পেছনে রেফারির ভুল বাঁশিকেও দায়ী করা যায়। প্রথমার্ধে ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে এমিলিদের জ্বলে ওঠার পথ বন্ধ করে দেন রেফারি মিজানুর রহমান। ৪৭ মিনিটে ফাউল করার অপরাধে দুই হলুদ কার্ড দেখিয়ে শেখ রাসেলের নির্ভরযোগ্য তারকা হেমন্ত ভিনসেন্টকে মাঠ থেকে বহিষ্কার করেন। ফাউল যে হেমন্ত করেছিলেন তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু বহিষ্কার করার মতো মারাত্দক ফাউল ছিল না। হেমন্ত মাঠ ছাড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় পুরোটা সময় ১০ জন নিয়ে শেখ রাসেল খেলে। যার প্রভাব পড়ে পুরো দলের ওপর। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জিতেও যায়। মুক্তিযোদ্ধার জয় নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে শেখ রাসেলের শক্তি যে এলোমেলো হয়ে যায়। এই বিচারটা করবে কে? শুধু শেখ রাসেল কেন এ ধরনের বড় ভুলে যে কোনো দল শিকার হতে পারে। বাফুফে বিষয়টি নিয়ে ভাবছে কিনা জানি না। কিন্তু সামনে বড় ম্যাচে রেফারি ভুল বাঁশি বাজালে মাঠে বড় ধরনের হট্টগোলের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।