কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে বিস্তর হাসাহাসি করেছে পাকিস্তানিরা। টিপ্পনি কাটতেও পিছপা হয়নি। কিন্তু এবার মরণকান্না শুরু করেছে দেশটি। বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ব্যাপক হৈ চৈ হয়েছে পাকিস্তান পার্লামেন্টে। সরকারকে তুলোধুনো করে ছেড়েছে বিরোধীপক্ষ। পাকিস্তানের হার কোনোভাবে মেনে নিতে না পেরে বিরোধীপক্ষ পরিষ্কারভাবে ক্রিকেটের এমন নাজুক অবস্থানের জন্য সরকারকে দুষছে। এমন পরিস্থিতির কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলেছেন সরকারকে।
১৯৯৯ সালের পর টানা ১৬ বছর কখনো হারেনি বাংলাদেশের কাছে। এবার শুধু হারেনি, বিধ্বস্তও হয়েছে। নাকাল হয়েছে পুরোপুরি। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বোলিংকে ছেলেখেলা করে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩২৯ রান করে বাংলাদেশ। হেরে যায় ৭৯ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগার বোলিংয়ে বিপক্ষে অসহায় আত্দসমর্পণ করে হেরে যায় ৭ উইকেটে। বুধবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে সৌম্য সরকারের অভিষেক সেঞ্চুরিতে গুঁড়িয়ে দেয় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। পাকিস্তানের এমন চেহারা মেনে নিতে পারেনি সে দেশের পার্লামেন্ট সদস্যরা। বিরোধীদলীয় নেতা খুরশিদ শাহ সরাসরি দায়ী করেছেন দেশের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও পিসিবিকে, 'ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রিকেট বোর্ডের অপেশাদারিত্বের কারণেই দলের এমন নাজুক পরিস্থিতি। কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অদক্ষতার জন্যই পাকিস্তানের ক্রিকেটের এমন বেহাল অবস্থা।' তিনি এই বেহাল অবস্থার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করার পাশাপাশি একজন পেশাদার লোকের নিয়োগ দিতে বলেছেন। বিরোধীদলীয় নেতা শুধু সমালোচনাই করেননি। প্রশ্ন তুলেছেন পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খানের যোগ্যতা নিয়েও।