একই ম্যাচে সেঞ্চুরি, সঙ্গে ১০টি উইকেট! এমন অর্জন টেস্ট ক্রিকেটের ১৩৭ বছরের ইতিহাসে আছে মাত্র দুজনের। একজন ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম অন্যজন পাকিস্তানের ইমরান খান। তাদের এই অনন্য কৃতীর সঙ্গে গত বছর যুক্ত হয়েছিলেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। তিনি অবিস্মরণীয় এই রেকর্ড করেন খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। একই ম্যাচে শতকসহ তুলে নিয়েছেন ১০টি উইকেট। শুধু এই একটি রেকর্ডই নয়, খুলনা ভেন্যুতে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে ও ১টি টি-২০ ম্যাচসহ ৬টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি টেস্ট ম্যাচ ছাড়া বাকি ৫টি ম্যাচেই বাংলাদেশ জিতেছে। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকান আবুল হাসান। মোমিনুলের ১১ ম্যাচে ২১ ইনিংস এ দ্রুততম হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার রেকর্ডটিও এই মাঠে। খুলনা টেস্টে ২য় ইনিংসে তামিমের বিদায়ের পর মাঠে নামেন মুমিনুল। এই ম্যাচে তিনি ৫৪ রান করেন। এর আগে ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার সমান সংখ্যক টেস্ট খেলে হাজার ক্লাবে প্রবেশ করেন। একই রেকর্ড গড়েছেন তামিম ও হাবিবুল বাশার। তবে তারা খেলেছিলেন ১৫টি ম্যাচ।
এই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে ম্যাচগুলোতে প্রতিপক্ষের কেউ ব্যাটিং-এ দুইশ' রানই তুলতে পারেনি। আবার দুই টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সেঞ্চুরি রয়েছে তিনটি। দুই টেস্টে টস জয়ের রেকর্ডও রয়েছে বাংলাদেশের। বরাবরই এ মাঠে স্পিনারদের দাপট। ওয়ানডেতে দুই ম্যাচে আ. রাজ্জাক ও সোহাগ গাজী ৭টি করে উইকেট পেয়েছেন এই মাঠে। দুই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিব পেয়েছেন ১৪ উইকেট। সব কিছু মিলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের লাকি ভেন্যু হিসেবে নানা রেকর্ডের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে খুলনা আবু নাসের স্টেডিয়াম। এবার পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচে নতুন কোনো রেকর্ডের সাক্ষী হতে মুখিয়ে আছে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম।