ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজে বাজেভাবে হারার পর টেস্ট সিরিজ নিয়েও শঙ্কিত পাকিস্তান। অথচ ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করলে নিঃসন্দেহে ফেবারিটের তকমা গায়ে মাঠে নামার কথা পাকিস্তানের। আগের আট ম্যাচেই তারা বাংলাদেশকে হারিয়েছিল এক তরফাভাবে। শুধু তাই নয়, সর্বশেষ দুই সিরিজে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তারা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ভালো করেছে। তারপরও এই সিরিজে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না মিসবাহ। তিনি বলেন, 'বিশ্বকাপের পর থেকেই দারুণ খেলছে বাংলাদেশ। তা ছাড়া ঘরের মাঠে তারা সব সময়ই দুর্দান্ত। তাই আমাদের সেরাটাই দিতে হবে। তবে আমি মনে করি, ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেট থেকে টেস্ট সম্পূর্ণ আলাদা।'
বোলিংয়ে পাকিস্তানের প্রধান অস্ত্র স্পিনার সাঈদ আজমল। কিন্তু অনেক দিন পর ক্রিকেটে ফিরে বাংলাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না তিনি। আজমল সম্পর্কে মিসবাহ বলেন, 'সে অনেক দিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেছে। তাকে তো সময় দিতে হবে। সে এখন সম্পূর্ণ নতুনভাবে শুরু করেছে অভিষিক্ত ক্রিকেটারদের মতো। কিছু ম্যাচ খেলার পর হয়তো আবার নিজের পারফরম্যান্স ফিরে পেতে পারেন। 'শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের উইকেট সম্পর্কে পাক অধিনায়ক বলেন, 'আমি এখানকার আগের ম্যাচগুলো থেকে বুঝেছি উইকেট খুবই ধীরগতির। লো-বাউন্স উইকেট এটা।' মিসবাহ মনে করেন, অবশ্যই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে হবে। তবে ৪-০ ব্যবধানে হারের কথা মনে করিয়ে দিতে পাক অধিনায়ক বলেন, 'এটা স্বাভাবিক ঘটনা। ক্রিকেটের অংশ। আমাদের টেস্ট ব্যাটসম্যানরা কিন্তু অনেক ভালো। তাই ওয়ানডে কিংবা টি-২০-তে ফল যাই হোক না কেন, টেস্টে অন্য রকম হতে পারে।'