কী সাহস, কী আত্মবিশ্বাস, কী চমৎকার ব্যাটিং স্টাইল বিশ্বকাপে সৌম্য সরকার ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বড় বিস্ময়! অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি উইকেটে যেখানে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরাই ভয়ে কাঁপে সেখানে সৌম্যর ব্যাটিং দেখে মনেই হয়নি ২২ বছরের ছেলেটি সবেমাত্র বাংলাদেশ দলে এসেছে। বিশ্বের বাঘা বাঘা বোলারদের বিরুদ্ধে খেলেছেন নির্ভয়ে। ওয়ানডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পেয়েছেন প্রথম সেঞ্চুরি। ১০ ম্যাচে গড় ৪০-র কাছাকাছি। রঙিন পোশাকে সফল হওয়ার পর এবার সৌম্য সরকারের অভিষেক হলো সাদা পোশাকেও। কাল খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ৭৫তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয়েছে আরেক তরুণ পেসার মোহাম্মদ শহীদের।
সৌম্য সরকার ৭৬তম টেস্ট ক্রিকেটার। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম কাল তাকে টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দেন। ওয়ানডেতে সৌম্য ইনিংস ওপেন করলেও টেস্টে তিনি ব্যাটিং করবেন সাত নম্বরে। ব্যাট হাতে নামবেন নাসির হোসেনের জায়গায়। সৌম্য ওয়ানডে ক্রিকেটে ভালো করেছেন বলেই টেস্টে সুযোগ পেয়েছেন, তা কিন্তু নয়। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে ঘরোয়া লিগে তিনি নিয়মিত রান করেছেন। সাতক্ষীরার ছেলে সৌম্য ৩২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে রান করেছেন ১৫৬৮। ১২টি হাফসেঞ্চুরি থাকলেও নেই কোনো সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ রান ৯৬। দলের প্রয়োজনে মিডিয়াম পেস বোলিংও করেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ম্যাচে নিয়েছেন ১৮ উইকেট। এক ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও আছে তার।
মোহাম্মদ শহীদ দলে সুযোগ পেয়েছেন ঘরোয়া লিগে নিয়মিত উইকেট পাওয়ার কারণে। নারায়ণগঞ্জের পেসার প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ২৫টি। ওভারপ্রতি গড়ে ৩.৩৬ গড়ে নিয়েছেন ৫৬ উইকেট। টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্তির মধ্যদিয়ে জাতীয় দলের হয়ে যাত্রা শুরু করলেন শহীদ। তবে সৌম্যের ওয়ানডে ও টি-২০ অভিষেকও হয়েছে।
ওয়ানডে সিরিজে দলে তিন পেসার নিয়ে সফল হলেও টেস্টে রাখা হয়েছে মাত্র দুই পেসার। মোহাম্মদ শহীদের সঙ্গে রয়েছেন রুবেল হোসেন।
কালকের ম্যাচের অভিষেক হয়েছে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান সামি আসলামেরও। ঘরোয়া লিগে দাপুটে ব্যাটিংয়ের কারণেই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়ানডেতে অভিষেক ঘটেছে তার।