সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে গতকাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে কোনো ম্যাচ ছিল না। একদিন বিরতির পর আজ আবার খেলা মাঠে গড়াচ্ছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকাল সোয়া ৪টায় ঢাকা মোহামেডান ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেসি মুখোমুখি হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আরেক ম্যাচে লড়বে রহমতগঞ্জ ও চট্টগ্রাম আবাহনী। লিগে এখনো একমাত্র অপরাজিত দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ছয় ম্যাচে তারা পুরো ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। লিগ এগুচ্ছে ভালোভাবেই। কোনো ম্যাচে হট্টগোল হয়নি। তবে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র বার বার রেফারির শিকার হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে সামান্য ফাউলের কারণে শেখ রাসেলের নির্ভরযোগ্য তারকা হেমন্ত ভিনসেন্টকে দ্বিতীয়ার্ধে ২ মিনিটেই লালকার্ড দেখিয়ে বহিষ্কার করা হয়। সোমবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লিংকনের কর্নার থেকে ল্যান্ডিং গোল করেন। তার এ গোলেই শেখ জামাল হারিয়ে দেয় শেখ রাসেলকে। এই কর্নার নিয়েও বিতর্ক উঠেছে। কেননা শেখ জামালের খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বল বাইরে গেলেও রেফারি জামালকে কর্নার দেন কীভাবে? ম্যাচ শেষে শেখ রাসেলের কোচ দ্রাগান দুকানোভিচ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে যদি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় তাহলে অযথা আর খেলার দরকার কি, শেখ জামালকে আগাম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দিক। লিগ কমিটি এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে। রেফারি ভুল বাঁশি বাজিয়ে লিগের সৌন্দর্য নষ্ট করছে এটা তারা কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না।
ফুটবলে মান না বাড়লেও ফুটবলারদের পারিশ্রমিক কিন্তু কমছে না। ৪০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা পাচ্ছেন। কিন্তু সে মানের খেলা কি লিগে দেখা যাচ্ছে? কোনো ম্যাচেই উত্তেজনা নেই। মনে হচ্ছে খেলোয়াড়রা খেলার জন্য খেলছেন। এই খেলা দেখতে দর্শক আসবে কোন যুক্তিতে। প্রতি ম্যাচে গ্যালারি থাকছে ফাঁকা। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ঢাকায় বাংলাদেশের প্রতিটি ম্যাচে উপচেপড়া দর্শকের সমাগম ঘটেছিল। সিলেটেও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। বাফুফের কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন লিগেও দর্শক ফিরবে। কিন্তু আগের চেয়ে আরও করুণ চিত্র ফুটে উঠছে গ্যালারিতে। বিতর্কিত রেফারিং ও নিম্নমানের পারফরমেন্স। এভাবেই চলছে দেশের সেরা ফুটবলের আসর। বাফুফে কি ভাবছে জানি না। কিন্তু যে অবস্থা চলছে তা দেশের ফুটবলের জন্য অশনি সংকেতই বলা যায়।