রুবেল-হ্যাপী!
বৈশাখের খরতাপে যেন ক্ষণিকের জন্য ক্লান্তি নেমে এসেছিল। টাইগাররা তখন ৯ উইকেট হারিয়ে ৩২৯ রানে ধুঁকছে। ব্যাট হাতে মাঠে নামছেন দলের শেষ ব্যাটসম্যান রুবেল হোসেন।
হঠাৎ করেই পাল্টে গেল পুরো গ্যালারির চেহারা। লাল-সবুজের পতাকার সঙ্গে বেজে উঠল বাধ্যযন্ত্র। ততক্ষণে দর্শকরা চেঁচাতে শুরু করেছেন 'রুবেল-হ্যাপী, রুবেল-হ্যাপী'। সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই বোলারের ব্যক্তিগত জীবনের টানাপড়েন আছড়ে পড়েছে খুলনার মাঠেও। তবে হ্যাপীর বিয়ের খবরে স্বস্তির দেখা মিলল দর্শকদের মধ্যেও। হাত উঁচু করে সবাই স্বাগত জানালেন রুবেলকে। তবে ম্যাচে রুবেল হোসেন ৯ বল খেলে মাত্র ২ রানে আউট হন।
উপায় নেই
ওয়ানডে ম্যাচে হোয়াইওয়াশ। তারপর আবার একমাত্র টি-২০ ম্যাচে শোচনীয় হার মেনেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে এমন লজ্জাকর পারফরম্যান্সে গোটা পাকিস্তান জুড়েই সমালোচনার ঝড় বইছে। কিছুটা ইজ্জত বাঁচাতে এখন একমাত্র ভরসা দুই টেস্ট। তাই খুলনায় অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে মরিয়া হয়ে খেলছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। দ্বিতীয় দিন শেষে এক ক্রিকেটার বলেও ফেললেন, উপায় নেই দুটো টেস্টেই আমাদের ভালো খেলতে হবে। তা না হলে দেশে ফিরে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারব না।
উত্তেজনা কম
চট্টগ্রামে না হলেও বাংলাদেশ-পাকিস্তানের টেস্ট ম্যাচ খুলনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারপরও মন ভরছে না খুলনাবাসীর। একজন দর্শক বলছেন, ধীর গতিতে খেলা হয় বলে টেস্টে কোনো উত্তেজনা নেই। ওয়ানডে না হোক বিসিবির উচিত ছিল টি-২০ ম্যাচটি খুলনায় দেওয়া। তাহলে আমরা টাইগারদের পারফরম্যান্সে মন ভরে উপভোগ করতে পারতাম।
হায় ১০ নম্বর
ফুটবলে ১০ নম্বর মানেই বিখ্যাত জার্সি। পেলে ও ম্যারাডোনাদের মতো গ্রেট ফুটবলাররা ১০ নম্বর জার্সি পরেই মাঠে নামতেন। বাংলাদেশেও বিখ্যাত ফুটবলার ১০ নম্বর জার্সি পরতেন। ২০ বছর আগে যারা এ জার্সি পরে মাঠে নামতেন তাদের নাম এখনো মনে আছে ফুটবলপ্রেমীদের। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ১০ নম্বর জার্সি পরে যারা খেলছেন তাদের নাম কি কেউ বলতে পারবে? দর্শকরা খেলা দেখছেন আর আফসোস করে বলছেন, হায় ১০ নম্বর।
বোনাস ঘোষণা
শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বাংলাদেশ সামনে বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই পর্বে লড়বে। ভালো খেলার উৎসাহ দিতে বাফুফে নাকি চিন্তা-ভাবনা করছে ম্যাচ জিতলে ফুটবলারদের বোনাস দেওয়ার।
ভারত আসছে জুনে
তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা ছিল। এখন সেখানে যোগ হয়েছে আরও একটি টেস্ট। তিন ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলতে জুনের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ আসছে ভারত। ঢাকায় আসার সম্ভাব্য তারিখ ৭ জুন। সফরে প্রথমে টেস্ট খেলবে ভারত। ১০-১৪ জুন টেস্টটি হবে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা স্টেডিয়ামে। এরপর তিন ওয়ানডে ম্যাচ সিরিজ। সম্ভাব্য তারিখ ১৭, ১৯ ও ২১ জুন। তবে আইটিনারি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সফর নিয়ে বিসিবির সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘সফরের তারিখ চূড়ান্ত হয়নি এখনো। এফটিপির পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই সফর হবে।’ ভারত গত জুনে তিনটি ওয়ানডে খেলে গিয়েছিল ঢাকায়। এ ছাড়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল টাইগাররা।