টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন ইমরুল কায়েস। গতকাল খেলেছেন ১৫০ রানের ক্যারিয়ার সেরা এক ইনিংস। ২৪০ বলে ১৬ বাউন্ডারি এবং তিন ছক্কায় এই রান করেন তিনি। এর আগে টেস্টে ইমরুলের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ছিল ১৩০ রান, জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে। এটি ইমরুলের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। আর টানা দ্বিতীয়। সব শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম টেস্টেও সেঞ্চুরি ছিল তার।
৭ম বারের মতো বাংলাদেশের ওপেনার হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ করেছেন ইমরুল কায়েস। প্রথম ইনিংসে ৫১, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫০ রান। এর আগে পাঁচবার উভয় ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ রান করেছেন তামিম, একবার রয়েছে হান্নান সরকারের।
কাল তামিম ইকবালের সঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১২ রানের জুটি গড়ে বিশ্ব রেকর্ডের অংশ হয়েছেন ইমরুল। বিশ্ব রেকর্ড জুটির অংশ হতে পেরে দারুণ খুশি ইমরুল কায়েস। তিন বলেন, 'এটা সত্যিই অনেক আনন্দের ঘটনা। এমন রেকর্ডের অংশ হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।' নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস সম্পর্কে ইমরুল বলেন, 'আমি বিশ্বকাপে ভালো করতে পারিনি। তাই টেস্ট দলে সুযোগ পাবো এমন আশাও ছিল না। কিন্তু বিশ্বাস ছিল মনে, যদি সুযোগ পাই তবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এমন একটি ইনিংস খেলতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। কিন্তু ব্যাটিং করতে আগের দিন খুবই কষ্ট হয়েছিল। আজ (গতকাল) সমস্যা হয়নি।'
তামিম টানা তিন টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। ইমরুলের হয়ে টানা দুই টেস্টে। তার সামনেও সুযোগ আছে টানা তিন টেস্টে সেঞ্চুরি করার। কায়েস বলেন, 'সেঞ্চুরি কিংবা হাফ সেঞ্চুরি নয়। আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার সামথ্য অনুযায়ী ভালোর খেলার। দলের প্রয়োজন মতো যেন রান করতে পারি। পরের টেস্টে চেষ্টা করব বড় ইনিংস খেলার।'
মুশফিক ডান হাতের আঙুলে আঘাত পাওয়া ইমরুল কায়েসকে উইকেট কিপিং করতে হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ কিপিং করতে নাকি খারাপ লাগেনি তার। ইমরুল বলেন, 'আমি আসলে কিপিং করা ইনজয় করেছি। আমাকে রিয়াদ ভাই ও তামিম খুবই সহযোগিতা করেছে। জানি, মুশফিকের মতো অতো ভালো কিপিং করতে পারব না। তারপরেও দলের কাজে লাগতে পেরে ভালোই লাগছে। তাছাড়া দল ভালো করলে ভালোই লাগে।'