খুলনা টেস্টে ব্যাট হাতে তামিম-ইমরুলরা যা করে দেখাল তা পাকিস্তানের মনে থাকবে অনেকদিন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে কাউড্রেরি-পুলারের ৫৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে তৃতীয় ইনিংসে প্রথমবারের মতো ৩০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এছাড়া তাইজুল ইসলাম, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসানদের দুর্দান্ত সাফল্যে বাংলাদেশের অনেক প্রাপ্তির খুলনা টেস্ট ড্র হয়েছে। এর ফলে চলতি সফরে ওয়ানডে ও টি-২০ তে হারের পর টেস্টেও জয় অধরাই থাকল মেসবাহ-আজাহার আলিদের।
খুলনা টেস্টেই সর্বাধিক সাত সেঞ্চুরি ও এক ইনিংসে সর্বাধিক রানের রেকর্ড গড়েছেন তামিম ইকবাল। রয়েছে তাইজুলের এক ইনিংসে ৬ উইকেট ও ইমরুল কায়েসের ১৫০ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অর্জন- এমন সব সুখস্মৃতি নিয়ে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে খুলনা ছাড়েন মুশফিক বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মহানগরীর সিটি ইন হোটেল ও আশেপাশের এলাকায় তখনও কয়েকশ ক্রিকেটভক্তের ভিড়। হাত নেড়ে তারা বিদায় জানালেন দেশসেরা ক্রিকেটারদের।
খুলনার মানুষ এমনিতেই ক্রিকেটপাগল। টেস্ট বা ওয়ানডেকে ঘিরে প্রতিবারই এখানে তৈরি হয় ক্রিকেট উম্মাদনা। শহরের মোড়ে মোড়ে থাকে বিশাল তোরণ। নিয়ন আলো, গ্রামীণ প্রতিচ্ছবি ও রঙিন ব্যানার-ফেস্টুন সে সময় খুলনা সেজে ওঠে নতুন রূপে। খেলার দিনে গ্যালারি জুড়ে থাকে উৎসবের আমেজ। রঙ-বেরঙের পোশাকে হাতে ও মুখে লাল-সবুজের আল্পনায় দর্শকরা সারাক্ষণ মাতিয়ে রাখেন আবু নাসের স্টেডিয়াম।
এখানকার মাঠ-পিচ, ড্রেসিং রুম, হসপিটালিটি বক্স, ইলেক্ট্রনিক স্কোর বোর্ড, গ্যালারি সব কিছুই বিশ্বমানের। ক্রিকেটকে ঘিরে এখানে রয়েছে উন্নতমানের হোটেল। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও শান্ত। কিন্তু তারপরও দর্শকদের আক্ষেপ থেকে যায় খুলনার এ মাঠকে ঘিরে কর্তৃপক্ষের বিমাতাসুলভ আচরণে।