ভালো খেলছে। কিন্তু সহজ সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করাতে শেখ রাসেল সেইরূপে জ্বলে উঠতে পারছে না। মুক্তিযোদ্ধা ও শেখ জামালের কাছে হেরে মূল্যবান ছয় পয়েন্ট নষ্ট করেছে। তাই প্রতিপক্ষ দুর্বল টিম বিজেএমসি হলেও শেখ রাসেল কি করবে এ চিন্তাটাও কাজ করছিল সমর্থকদের মধ্যে। কেননা আগের ম্যাচে শেখ জামালের কাছে হারলেও বিজেএমসির পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো ছিল। না, কোনো অঘটন নয়। ফেবারিট শেখ রাসেল আবার জয়ের ধারায় ফিরে এসেছে। গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে শেখ রাসেল ২-১ গোলে বিজেএমসিকে হারিয়ে পুরো পয়েন্ট অ্যাকাউন্টে জমা করেছে। ৬ ম্যাচে শেখ রাসেল এখন ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করল। এখনো লিগের অনেক ম্যাচ বাকি তাই চ্যাম্পিয়ন কে হবে বলা মুশকিল। কিন্তু ছয় ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নষ্ট করাতে শেখ রাসেল কিছুটা হলেও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। প্রথম পর্বে এমিলিদের সামনে বড় কোনো প্রতিপক্ষ নেই। তাই দুর্বল দলের বিপক্ষে পয়েন্ট যেন না হারায় সে লক্ষ্য নিয়ে খেলতে হবে।
কোচ দ্রাগান দুকানোভিচ বলেছেন, কে দুর্বল বা শক্তিশালী তা ভেবে লাভ নেই। লিগ জিততে হলে শেখ রাসেলকে এখন প্রতিটি ম্যাচ জিততে হবে। পয়েন্ট হারানো মানেই বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাওয়া। চলতি মৌসুমে বিগ বাজেটে তারকা ফুটবলারদের নিয়ে শেখ রাসেল শক্তিশালী দল গড়ে। বিদেশি সংগ্রহের পেছনেও প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। অন্যান্য সুযোগ সুবিধা চোখে পড়ার মতো। এক কথায় বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে অবিশ্বাস্য বলা যায়। এরপরও লিগে শেখ রাসেলের খেলার মান প্রশ্নবিদ্ধ। অধিকাংশ সময়ে বল নিয়ন্ত্রণ রাখলেও পরিকল্পনার অভাবে ছন্দ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর গোলের সুযোগ নষ্ট করাটা এমিলিদের যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ব্রাদার্স, ঢাকা মোহামেডান, ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে জয়লাভ করে। আর মুক্তিযোদ্ধা ও শেখ জামালের কাছে হেরেছে আক্রমণভাগের ব্যর্থতার কারণে। যেখানে শট নিলেই জালে বল স্পর্শ করে সেখানে কিনা গোল করতে পারেনি নামিদামি খেলোয়াড়রা। গতকাল তাই দুর্বল প্রতিপক্ষ হলেও টিম বিজেএমসির বিপক্ষে সতর্ক হয়ে মাঠে নেমেছিলেন দ্রাগানের শিষ্যরা। বিজেএমসি যেন জ্বলে উঠতে না পারে সেদিকে নজর রেখেছিল শেখ রাসেল। আসলে শিরোপা রেসে টিকে থাকতে শেখ রাসেলকে এখন হোঁচট খেলে চলবে না। বিজেএমসি দুর্বল হলেও ম্যাচটিকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন এমিলিরা। শুরু থেকে গোল পেতে মরিয়া হয়ে লড়ে বিগ বাজেটের দলটি। ২০ মিনিটে বিদেশি রিক্রুট পল এমিলির গোলে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। আরও সুযোগ এসেছিল কিন্তু প্রথমার্ধে ১ গোল নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে শেখ রাসেল। ৫৫ মিনিটে ডি বক্সের ভিতর পল এমিলিকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টি নির্দেশ দেন। তা থেকে গোল করেন দেশসেরা স্ট্রাইকার জাহিদ হোসেন এমিলি। তবে ৭৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বিজেএমসির জীবন ব্যবধান কমান। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল। এদিকে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা মোহামেডান ১-১ গোলে ফেনী সকারের সঙ্গে। মোহামেডানের ইব্রাহিম ও ফেনীর মোস্তফা গোল করেন।