এর আগে যা হয়নি। তাই হয়েছে খুলনায়। প্রায় ৩০০ রানে পিছিয়ে থেকেও কখনো টেস্ট ড্র করেনি বাংলাদেশ। খুলনায় সেই অবিশ্বাস্য কাজটিই করেছে বাংলাদেশ। শুধু করেইনি, দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে নাম লিখিয়েছে রেকর্ড বুকেও। ২৯৬ রানে পিছিয়ে থেকে হারের শঙ্কায় যখন ক্রিকেটপ্রেমীরা, তখন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস খেলেন স্বপ্নের ক্রিকেট। গড়েন বিশ্বরেকর্ড। ভাঙেন ৫৫ বছরের ইতিহাস। অবিশ্বাস্য ড্রয়ের টেস্টে তামিম খেলেন ২০৬ রানে ইনিংস। মুশফিকুর রহিমের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেন তামিম। ইমরুলকে নিয়ে ৩১২ রানের জুটি গড়েন, যা যে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা। তামিমের ডাবল সেঞ্চুরির সঙ্গে ১৫০ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন ইমরুলও। দুই বাঁ হাতি ওপেনার ছাড়া আরও একজন বাঁ হাতি ছিলেন ড্রয়ের অন্যতম সহায়ক শক্তি। পাকিস্তানকে আটকে রাখতে ৬ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। পাকিস্তানের বিপক্ষে টিম বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য ড্রয়ের স্বাদ নিয়ে কাল সকালে ঢাকায় ফিরেন মুশফিক বাহিনী। আজ বিশ্রাম। কাল থেকে আবার নেমে পড়বেন অনুশীলনে। ৬-১০ মে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। মিরপুর টেস্টের জন্য কাল বিসিবি ১৪ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। যাতে কোনো পরিবর্তন নেই। খুলনা টেস্টের স্কোয়াডই রাখা হয়েছে। তবে গুঞ্জন, মিরপুরে একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে। মোহাম্মদ শহীদের জায়গায় দেখা যেতে পারে শাহাদাত হোসেন রাজীবকে। শুভাগতের জায়গায় দেখা যেতে পারে লিটন কুমার দাসকে। খুলনায় আঙুলে ব্যথা পাওয়ায় শেষ দুই দিন কিপিং করেননি মুশফিক। তার জায়গায় কিপিং করতে পারেন লিটন।
বাংলাদেশ স্কোয়াড : তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, লিটন কুমার দাস, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, শুভাগত হোম, সৌম্য সরকার, তাইজুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন, রুবেল হোসেন, শাহাদাত হোসেন ও মোহাম্মদ শহীদ