দুরন্ত ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। এরপর ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে পাকিস্তানকে। টাইগারদের পারফরম্যান্স এখন ঊর্ধ্বমুখী। তাই বাংলাদেশের স্পন্সর স্বত্ব নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও টানাহেঁচড়া চলেছে। বুধবার টাইগারদের টাইটেল স্পন্সর বিক্রয়ে অংশ নেয় ৬টি প্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকা দর হাঁকিয়ে টাইগারদের পৃষ্ঠপোষকতা কিনে নেয় 'টপ অব মাইন্ড'। কেনার পর দিনই তা বিক্রয় করে বেসরকারি মোবাইল অপারেটিং কোম্পানি রবির কাছে। ফলে আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল, 'এ' দল, মহিলা জাতীয় দল এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টাইটেল স্পন্সর 'রবি'। কোম্পানিটি এই প্রথম বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পন্সর হলো।
২০১২ সালের ১ জুন ভারতীয় কোম্পানি সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার প্রায় ৯২ কোটি টাকা বা ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারে চার বছরের জন্য চুক্তি করেছিল বিসিবির সঙ্গে। কিন্তু ১৫ মাস আগেই সেই চুক্তি বাতিল করে সরে দাঁড়ায় সাহারা। তার জায়গায় বিক্রয় করা হয় নতুন কোম্পানির কাছে। গ্রামীণফোনকে হারিয়ে সেটা কিনে নেয় টপ অব মাইন্ড। গ্রামীণফোন ৪০ কোটি টাকা দর হাঁকিয়েছিল। টপ অব মাইন্ড দর হাঁকায় ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কাল সেটা বিক্রয় করে রবিকে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থে বিক্রয় হয়। গ্রামীণফোন অবশ্য ২০০৩-১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্পন্সর ছিল। কাল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টাইটেল স্পন্সর কিনে নেওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রবির চিফ অপারেটিং অফিসার মাহতাব উদ্দীন আহমেদ বলেন, 'টাইগারদের অব্যাহত অগ্রযাত্রায় শামিল হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। রবি বিশ্বাস করে, মানুষ তার অন্তর্নিহিত বা ক্ষমতা দিয়ে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় যে কোনো বাধা জয় করতে পারে। দক্ষতা, সততা এবং কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে দুনিয়ার যে কোনো শক্তির মোকাবিলা করার যে অনন্য নজির তুলে ধরেছে টাইগাররা, সেটাই আপন শক্তিতে জ্বলে ওঠার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।' সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ, রবির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহেদুল আলম, ভাইস প্রেসিডেন্ট খন্দকার আশরাফুল হক, টপ অব মাইন্ড-এর সিইও জিয়াউদ্দিন আদিল, বিসিবির মিডিয়া চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ও সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।