এই দিনটির জন্য গেল ছয় বছর অপেক্ষা করছিল পাকিস্তানের দর্শকরা। ২০০৯ সালের ৩ মার্চ থেকে ২০১৫ সালের ২২ মে। ছয় বছর দুই মাস ১৯ দিন। দীর্ঘ সময় পর তারা আজ ঘরের মাঠে বসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ উপভোগ করতে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে এই দীর্ঘ সময়ে পাকিস্তানের মাঠে কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ এই দেশটিতে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশ খেলতে যায়নি। পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে কোনো দেশ সাহস করেনি পাকিস্তানের গিয়ে খেলতে। তাই যাযাবরের মতো পাকিস্তান এখানে ওখানে হোম ভেন্যু তৈরি করে খেলেছে। দীর্ঘ ছয় বছরের অপেক্ষার পালা শেষ হয়েছে। গেল মঙ্গলবার সব অনিশ্চয়তা আর ভয়কে পেছনে ফেলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল দুটি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলতে পাকিস্তানে পৌঁছেছে।
আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে। এটা শুধু একটা ক্রিকেট ম্যাচ নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। পাকিস্তানের দর্শকরা গেল ছয় বছর ধরে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিল। ২ হাজার ২৭১ দিন পর তারা আজ ঘরের মাঠে বসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ উপভোগ করতে যাচ্ছে। তাই লাহোরে রীতিমতো উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের সংস্থা ফিকা ও জিম্বাবুয়ে বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নিষেধ অমান্য করে পাকিস্তান সফরে এসেছে জিম্বাবুয়ে দল। তারা পাকিস্তানে এসে শুধু একটি গাছের চারা রোপন করেনি, তারা একটি বাগান তৈরি করেছে। তাদের এই ১০ দিনের সফর ভবিষ্যতে আরো দেশকে উৎসাহিত করবে পাকিস্তানে ক্রিকেট সিরিজ খেলতে যেতে।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পর জিম্বাবুয়ে আর কোনো সিরিজ খেলেনি। পাকিস্তানের সমর্থকরা জিম্বাবুয়েকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দিলেও তারা কেউ-ই চাইছে না যে স্বাগতিকরা সফরকারীদের কাছে হেরে যাক। তা ছাড়া শক্তিমত্তার বিচারে জিম্বাবুয়ের চেয়ে বেশ এগিয়ে পাকিস্তান। এখন শুধু দেখার পালা মাঠে নিজেদের দক্ষতার পাল্লাটা কারা ভারী করে তুলতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/২২ মে ২০১৫/ এস আহমেদ