একটি রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে। ফতুল্লায় একটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেললেই নাম লেখাবেন এবি ডি ভিলিয়ার্সের পাশে। ডি ভিলিয়ার্স টানা ১২টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন টেস্টে। তরুণ মুমিনুল হক পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট পর্যন্ত করেছেন ১১টি। তাতে তিনি টপকে গেছেন স্যার ডোনাল্ড ব্রাডম্যান, সুনীল গাভাস্কার। ছুঁয়েছেন স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসকে। এখন তাকে টপকে ডি ভিলিয়ার্সের পাশে নাম লেখানোর অপেক্ষা। কাল থেকে শুরু টেস্ট। তাতেই রেকর্ড করে ফেলতে পারেন তরুণ মুমিনুল। তবে মুমিনুল এসব রেকর্ড নিয়ে ভাবেন না। ভাবনা জুড়ে শুধু ভালো খেলা।
ডি ভিলিয়ার্সকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন কী?
এবি ডি ভিলিয়ার্স ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেরই রাজা। আমি কখনোই মনে করি না আমি ওনার প্রতিদ্বন্দ্বী।
ফতুল্লায় একটি রেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে...
আমি এসব নিয়ে ভাবছি না। আমার চিন্তা ভালো খেলা। আগের ম্যাচগুলোতে যেভাবে খেলেছি, এখন আমার টার্গেট ভালো খেলা এবং প্রস্তুতি নিয়েছি দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করার। আমি খেলি কোনো রেকর্ডের কথা ভেবে নয়।
আপনি বলেছেন রেকর্ড মাথায় রেখে খেলেন না। কিন্তু রেকর্ডের কাছাকাছি। তাই বাড়তি কোনো চাপ বোধ করছেন?
না, একদম কাজ করে না। আপনারা বললেই মনে পড়ে। এরপর আবার ভুলে যাই।
নিজেকে টেস্ট স্পেশালিস্ট ভাবেন?
টেস্টে এখন ভালো খেলছি, তাই অনেকেই বলছেন আমি টেস্ট ক্রিকেটার হয়ে গেছি। অন্য ফরম্যাটে ভালো করলে ওটাতেও ভালো বলবে। যেখানে আমার গ্যাপ আছে, সেখানে আমি ভালো পারফরম্যান্স করতে পারলে ভালো করার সুযোগ আছে। আমি আসলে নিজেকে আলাদা করে কিছু ভাবি না। শুধু ভাবি ভালো খেলতে হবে।
ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে কোনো রোমাঞ্চ...
প্রতিটি টেস্টের আগেই এমনটা মনে হয়। চিন্তা থাকে ভালো করার। ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট বলে বাড়তি কোনো রোমাঞ্চ নেই।
বিশ্বকাপের রেজাল্ট কোনো প্রভাব ফেলবে?
আমার মনে হয় না।
ভারতের বোলিং...
আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভারতের বোলিং অনেক শক্তিশালী। দুই জন কোয়ালিটি স্পিনার রয়েছেন।
উইকেট কেমন...
আমার মনে হয় উইকেট একটু স্লো হবে। মাঠে নামার পর বুঝতে পারব উইকেট।
দলের মানসিকতা এখন কেমন?
পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা ভালো খেলেছি। হয়তো শেষ টেস্ট ভালো খেলেনি। ওয়ানডে সিরিজে তাদের হোয়াইটওয়াশ করেছি। টি-২০ জিতেছি। একটা সিরিজ ভালো খেললে সবারই আত্মবিশ্বাসই ভালো থাকে। আমাদের আত্মবিশ্বাসও ভালো।