ফতুল্লা টেস্টের প্রথম দিন ৫৬ ওভার বল করেও কোনো উইকেটের দেখা পায়নি টাইগাররা। অথচ তৃতীয় দিনে মাত্র ৪৬ ওভার বল করে ভারতের প্রথম সারির ৬ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়েছে মুশফিক বাহিনী। আর এই ছয় উইকেটের ৪টিই নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বাকি দু'টি উইকেট পেয়েছেন তরুণ লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন। বৃষ্টিতে পুনরায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ওই ৬ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ৪৬২ রান।
শুক্রবার ফতুল্লায় খান জাহান ওসমান আলী স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামে প্রথম দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুরালি বিজয় ও শিখর ধাওয়ান। এদিন শুরুটা ভালো হলেও দলীয় ২৮৩ রানে ডাবল সেঞ্চুরি দিকে থাকা নিজের বলে ফিরতে ক্যাচে প্যাভিলনে পাঠান সাকিব। ১৯৫ বলে ২৩টি চারে ১৭৩ রান করেন ধাওয়ান। পরের ওভারে বল করতে এসে এবার রোহিত শর্মাকে সরাসরি বোল্ড করে দেন সাকিব। ৯ বলে মাত্র ৬ রান করেন রোহিত।
এরপর ক্রিজে আসেন ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু টাইগার বোলারদের বিরুদ্ধে তিনি সুবিধা করতে পারেননি। ম্যাচের ৭৫তম ওভারের শেষ বলে জুবায়েরের গুগলিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে বল কোহলির ব্যাটের কানায় লেগ সোজা স্ট্যাম্পে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে পুরো স্টেডিয়াম উল্লাসে ফেটে পড়ে।
তবে চতুর্থ উইকেটে আজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন মুরালি বিজয়। এই দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে লাঞ্চের আগ পর্যন্ত দ্রুত রান তুলতে থাকা সফরকারীদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪০০’র কাছাকাছি চলে যায়। তবে আধ ঘণ্টা ব্যবধানে তিন তিনজনকে সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেন সাকিব ও জুবায়ের। সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ২৭২ বলে ১২ চার আর এক ছয়ে মুরালি বিজয় করেন ১৫০ রান। অন্যদিকে, সাকিবের বলে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র দুই রান দূরে থাকতে বোল্ড হন রাহানে। আর ধোনির পরিবর্তে একাদশে জায়গা পাওয়া ঋদ্ধিমান শাহাকে ৬ রানে ফিরিয়ে দেন জুবায়ের।
বিডি-প্রতিদিন/১২ জুন, ২০১৫/মাহবুব