ফতুল্লা টেস্টে পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েও শেষ পর্যন্ত ৪ ব্যবধানে ফিরে গেছেন সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৯ রান। ব্যাট করছেন লিটন দাস (১০) ও শুভাগত হোম (৫)।
এর আগে ৩ উইকেটে ১১১ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতির পর পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস (৫৯) ও সাকিব আল হাসান (০) রানে ব্যাটিং শুরু করেন। শুরুতেই সাকিব আল হাসান ইশান্ত শর্মার বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলেন। পরের ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ফুললেন্থ ডেলিভারিকে কভার দিয়ে আরেকটি বাউন্ডারি হাঁকান টেস্টর সেরা অলরাউন্ডার। কিন্তু দুই বল পরই স্বাগতিক দর্শকদের হতাশ করেন তিনি। অশ্বিনের শর্ট বলে কাট করতে গিয়ে ঋদ্ধিমান সাহার গ্লাভসবন্দি হন সাকিব। ৯ রানেই শেষ সাকিবের ইনিংস।
এর আগে শুক্রবার তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ৪৬২ রান করেছিল সফরকারীরা। শনিবার চতুর্থ দিনে আর ব্যাটিংয়ে না নেমে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৩ রান করেন শিখর ধাওয়ান। ১৯৫ বলে ২৩ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজান এই বাঁহাতি ওপেনার।
আরেক ওপেনার মুরলি বিজয় করেন ১৫০ রান। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংস। ২৭২ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ১৫০ রানের ইনিংসটি গড়েন বিজয়। এ ছাড়া মাত্র ২ রানের জন্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন অজিঙ্কা রাহানে। ৯৮ রানে সাকিবের শিকার হন তিনি।
অধিনায়ক হিসেবে কোহলির শুরুটা ভালো হয়নি। মহেন্দ্র সিং ধোনি টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পর এটি কোহলির অধীনে ভারতের প্রথম টেস্ট। কিন্তু প্রথম ইনিংসেই ফ্লপ কোহলি। মাত্র ১৪ রান করে তরুণ তুর্কি জুবায়েরের কাছে হার মানেন কোহলি।
বল হাতে বাংলাদেশের সেরা বোলার সাকিব আল হাসান। ৪ উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন নেন ২ উইকেট।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ জুন ২০১৫/ এস আহমেদ