বেন স্টোকসের প্রথম শতকে বাংলাদেশকে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩১০ রানের বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই পাহাড়সহ রান তাড়া করতে নেমে প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে একাদশে ফেরা ইমরুল কায়েস প্রথম থেকেই ভালোই জবাব দিতে থাকেন। নিজের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা দিয়ে শুরু করে পঞ্চম বলেই চার মারেন তিনি। পরবর্তীতে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিও তুলে নেন।
পরবর্তীতে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ১১৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে কক্ষ পথেই রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু তাদের বিদায়ের পড়ে বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২১ রানে হেরেছে টাইগাররা।
আজ শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে হেরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও ইমরুল কায়েসের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং আর সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ইনিংসে এক সময়ে ছয় উইকেট হাতে থাকা বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৫২ বল মাত্র ৩৯ রান। কিন্তু ১৭ রান তুলতেই শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা! ফলে ৪৭ ওভার ৫ বলে ২৮৮ রানে অলআউট হয়ে ২১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বেন স্টোকসের প্রথম শতকে ৮ উইকেটে ৩০৯ রান করে ইংল্যান্ড। ৩১০ রানের বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তামিমের সঙ্গে ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুড়ে বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই এনে দেন ইমরুল। কিন্তু ১০ম ওভারে ফিরে যান তামিম ইকবাল (১৭)। পরে সাব্বির রহমানকে নিয়ে ঝড়ো এক জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু ডেভিড উইলির অসাধারণ এক ক্যাচে আউট হয়ে যান সাব্বির রহমান। এরপর অন্যপ্রান্তে শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল। অাউট হন মাহমুদউল্লাহ (২৫), মুশফিকুর রহিম (১২)।
তবে সৌম্য সরকারের পরিবর্তে একাদশে ফেরা ইমরুল কায়েস নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে দলকে আশা দেখাতে থাকেন। এসময় সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ১১৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু সাকিব ৭৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে আউট হলে আবারও পথ হারায় বাংলাদেশ। তার আউটের পরপরই দ্রুত মোসাদ্দেক হোসেন (০) ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা (১) ফিরে গেলে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা।
এরপর ইমরুল কায়েসের দিকেই তাকিয়ে ছিল সাড়া বাংলাদেশ। কিন্তু ৪৪তম ওভারের শেষ বলে দলকে জয় থেকে ৩০ রান দূরে রেখে ইমরুল আউট হয়ে গেলে শঙ্কায় পড়ে যায় মাশরাফি বাহিনী। এরপর শফিউল ইসলাম শূন্য রানে রান আউটে কাটা পড়লে বাংলাদেশ ২৮০/৯ রানে পরিণত হয়। পরবর্তীতে মোশাররফ হোসেন রুবেল ও তাসকিন আহমেদও ফল বদলাতে পারেননি। অভিষিক্ত জেইক বল আর আদিল রশিদের দারুণ বোলিংয়ে ৪৭ ওভার ৫ বলে ২৮৮ রানে অলআউট হয়ে ২১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে জেমস ভিন্স ও জেসন রয়ের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো সূচনা পায় ইংল্যান্ড। শফিউল ইসলামের বলে তুলে মারতে গিয়ে মাশরাফির তালুবন্দি হয়ে ভিন্স আউট হলে ভাঙে ৪১ রানের জুটি।
পরবর্তীতে রয়কে ফেরান সাকিব আল হাসান। আর সাব্বিরের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান আউট হন বেয়ারস্টো।
৬৩ রানে তিন ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে দেওয়া বাংলাদেশ চেপে ধরে ইংল্যান্ডকে। কিন্তু সময় স্টোকস ও ডাকেট বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ে সুযোগ নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন। স্টোকস ১০০ বলে ১০১ রান করে আউট হন।
৩৮ বলে চারটি ছক্কা ও তিনটি চার হাকিয়ে ৩৮ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে তিনশ রান বেশি করতে সহায়তা করেন বাটলার।
বিডি প্রতিদিন/ ০৭ অক্টোবর ২০১৬/ এনায়েত করিম