ধোনির জায়গা নিতে পারবেন কি না তা সময়ই বলবে। কিন্তু ভারতের হয়ে ম্যাচ ফিনিশার হতে চান হার্দিক পাণ্ডে। এখনও তেমনভাবে উঠে আসতে পারেননি। কিন্তু মনে মনে সেই স্বপ্নই দেখেন। একদিন ভারতের জার্সিতে ম্যাচ উইনার হবেন তিনি, তার নামের পাশে লেখা হবে ‘হার্দিক পাণ্ডে আ ফিনিশার’।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ ওয়ান ডেতে যদিও সেই কাজটি করার সুযোগ এসেছিল কিন্তু পারেননি। ৩১ বলে ২৯ রান দরকার ছিল ভারতের। যে সময় হার্দিক আউট হয়ে ফেরেন প্যাভেলিয়নে। তখন তার রান ২১ বলে ২০। যে ম্যাচ ১১ রানে হেরে গিয়েছিল ভারত।
উল্টোদিকে ছিলেন বিশ্বের সেরা ফিনিশারদের মধ্যে একজন। তিনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এই ম্যাচে তার মন্থরতম হাফ সেঞ্চুরি (১১৪ বলে ৫৪ রান) নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। শেষের দিকে ধোনির ক্রিকেট ক্যারিয়ার। সেই অবস্থায় ভারতীয় দলের ফিনিশার হিসেবে যদি উঠে আসেন নবাগত কেউ তা হলে ভারতীয় দলের জন্য ভাল খবর। আর ঠিক তেমনটাই চাইছেন হার্দিক।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি আর ধোনি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম ১৯০ রানের টার্গেট পেড়িয়ে যেতে পারব। আমরা ভেবেছিলাম আগে লক্ষ্য ক্রিজে টিকে থাকা। তার পর রানের লক্ষ্যে নামা। ২৯ বলে ৩১ রানের লক্ষ্যে আমরা ব্যাট করেছি। কিন্তু এদিন আমরা ফিনিশ করতে পারিনি। আমি দলের হয়ে ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা পারিনি। এটা একটা শিক্ষা।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ ম্যাচ এখন ফাইনাল। যদিও সেই ম্যাচ নিয়ে কোনও উত্তেজনা নেই হার্দিকের মধ্যে। জেতা ছাড়া কিছুই ভাবছে না ভারতীয় দল। শেষ ম্যাচে নিজের সেরা খেলাটাই খেলতে চাইছেন তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে রবীন্দ্র জাদেজার জন্য রান আউট হতে হয়েছিল। মাঠের মধ্যে রেগে গেলেও পরে ড্রেসিংরুমে ফিরে যে তার মাথা ঠান্ডা হয়ে যায় সেটাও জানিয়েছেন হার্দিক। তিনি বলেন, ‘‘মাত্র তিন মিনিট সময় লেগেছিল। সেই সময় একটা রাগের বহিঃপ্রকাশ হয়েছিল। রেগে গিয়েছিলাম আর কিছুক্ষণ পরেই সবার সঙ্গে হাসি মজায় মেতে উঠেছিলাম। আমার দিকে তাকিয়ে দলের অনেকেই হেসে ফেলেছিল সেই সময়।’’
নিজের এই উত্থান নিয়ে, নিজের ক্রিকেট জীবনের চলা নিয়ে খুশি হার্দিক। ব্যাটে-বলে আমি যা করছি তাতে আমার কোনও হতাশা নেই। আর এটাও নিশ্চিত করেছেনযে কোনও পরিস্থিতিতে তিনি খেলতে তৈরি। নিজেকে একজন অল-রাউন্ডার হিসেবে দেখতে চান তিনি। বিরাট কোহালির সাহচর্যে কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
হার্দিক বলেন, ‘‘বিরাট আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমার মনে আছে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমি ম্যাচ শেষ করেছিলাম। ৪৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস ছিল। সেদিন বিরাট আমাকে বলেছিল এই ইনিংসের পুনরাবৃত্তি চাই।’’
বিডি-প্রতিদিন/ ৬ জুলাই, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৪