বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজটি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন কোচ ওটিস গিবসেনর প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট।এই সিরিজে নিজ মাঠে বাংলাদেশকে মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।
যদিও ইতোপূর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে এক তরফাভাবে সব টেস্টে জয় পাওয়া প্রোটিয়ারা এ সিরিজেও সে রেকর্ড অব্যাহত রাখতে চায়। তবে তাদের চিন্তার বিষয় হচ্ছে ফাস্ট বোলিং এবং টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ফর্ম।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এ পর্যন্ত হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েতে চার টেস্টে মুখোমুখি হয়ে সব ম্যাচেই ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে প্রোটিয়ারা।
তবে এ বছর ইংল্যান্ড সফরে চার টেস্টের সিরিজ হারা এবং দলের প্রধান পেস আক্রমণের অনুপস্থিতিতে স্বাগতিক দলের আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই।
ইনজুরির কারণে ক্রিস মরিস, ভারনন ফিলান্ডার এবং ডেল স্টেইন খেলতে না পরায় প্রোটিয়া দলের পেস আক্রমণের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে মরনে মরকেল ও কাগিসো রাবাদাকে। ডিন এলগারের সর্বশেষ ওপেনিং জুটি হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে ২২ বছর বয়সী আইডেন মার্করামের।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্সের কথা পুরো বিশ্বই অবগত আছে উল্লেখ করে ইংল্যান্ড দলের সাবেক এ বোলিং কোচ বলেন, ‘বাংলাদেশ নিজ মাঠে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে। শ্রীলংকাকে হারিয়েছে লংকার মাঠে। সুতরাং শক্তিশালী দল না হলে সেটা কোনভাবেই সম্ভব নয়।’
দুই টেস্টের সিরিজ খেলছেন না বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। টেস্ট ক্রিকট থেকে ছয় মাসের বিশ্রাম চেয়েছিলেন তিনি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই ম্যাচের সিরিজ থেকে বিশ্রাম দিয়েছে।
গিবসন বলেন, ‘সাকিব না থাকায় বাংলাদেশ কিছুটা দুর্বল থাকবে এটা ঠিক। কিন্তু একই সাথে আপনাকে মনে রাখতে হবে- বাংলাদেশ দলে এখন তরুণরা ভালো করছে। এটা দলীয় খেলা। সুতরাং টাইগার দলের বিপক্ষে জিততে হলে আমাদের সর্ব শক্তি নিয়োগ করতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম